ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা পর্যটন স্পটগুলোর

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত ‘বিধিনিষেধে’ দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ রয়েছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প। সংক্রমণ রোধে যদি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ থাকে, তবে এই খাতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

এ সময় টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান পর্যটন খাত বাঁচাতে আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসেডিউর (এসওপি) মেনে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যুর অপারেটরদের প্রণোদনা দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

টোয়াবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, করোনার কারণে ২০২০ সালে পর্যটন খাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে হতাশ হয়ে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে পর্যটন খাতে যতটুকু বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আগের বছরের তুলনায় বেশি হলেও সার্বিক বিবেচনায় অপ্রতুল।

টোয়াব সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজটে পর্যটন খাতে এবার ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। আমি মনে করি, এই বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য খুবই যৎসামান্য। বাজেট বক্তৃতায় অথর্মন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের কথা বলেছেন। কিন্তু খাতটিকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার বিষয়ে কোন প্রকার দিকনিদের্শনা খুঁজে পায়নি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ট্যুর অপারেটরদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি, যা আজও সফলতার মুখ দেখেনি। এমনকি সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকার ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারেনি।’

এছাড়া ট্যুর অপারেটরদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ, টোয়াবের সদস্য ও তাদের পরিবার সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়া এবং পর্যটনের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয়ের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টোয়াবের পরিচালক (গণমাধ্যম ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ সাহেদ উল্লাহ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের প্রথম সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

টোয়াবের সংবাদ সম্মেলন

ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা পর্যটন স্পটগুলোর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত ‘বিধিনিষেধে’ দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ রয়েছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প। সংক্রমণ রোধে যদি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ থাকে, তবে এই খাতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

এ সময় টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান পর্যটন খাত বাঁচাতে আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসেডিউর (এসওপি) মেনে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যুর অপারেটরদের প্রণোদনা দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

টোয়াবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, করোনার কারণে ২০২০ সালে পর্যটন খাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে হতাশ হয়ে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে পর্যটন খাতে যতটুকু বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আগের বছরের তুলনায় বেশি হলেও সার্বিক বিবেচনায় অপ্রতুল।

টোয়াব সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজটে পর্যটন খাতে এবার ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। আমি মনে করি, এই বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য খুবই যৎসামান্য। বাজেট বক্তৃতায় অথর্মন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের কথা বলেছেন। কিন্তু খাতটিকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার বিষয়ে কোন প্রকার দিকনিদের্শনা খুঁজে পায়নি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ট্যুর অপারেটরদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি, যা আজও সফলতার মুখ দেখেনি। এমনকি সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকার ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারেনি।’

এছাড়া ট্যুর অপারেটরদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ, টোয়াবের সদস্য ও তাদের পরিবার সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়া এবং পর্যটনের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয়ের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টোয়াবের পরিচালক (গণমাধ্যম ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ সাহেদ উল্লাহ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের প্রথম সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।