ভোলায় হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

ভোলা জেলা শহরের পৌর ৪নং উত্তর চরনোয়াবাদ এলাকায় শত বছরের পৈত্তিক বাড়ি ও সম্পত্তি থেকে সুবল চন্দ্র মালের পরিবারকে উৎখাতে মরিয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ ওঠেছে ভূমি দস্যু সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে নিরাপত্তা দাবির পাশপাশি ওই ভূমি দস্যুর বিচার দাবি করেন সুবল চন্দ্র মাল, ৭০ বছর বয়সী সবিতা রানী ভক্ত, গীতা রানী ভক্ত (৬০), শিখা রানী, অবনী রানী মাল। এরা জানান, তাদের দাদা বাসু চরণের জন্মও এই বাড়িতে হয়েছে। ৪ একরের ওপর সম্পত্তি ছিল তাদের। পিতা মনি চরণ মাল ও ওয়ারিশরা কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ৩০ বছর আগে ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ভূমি দস্যু মো. সাহাবুদ্দিন। ওই জমি তিনি বুঝে নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সাহাবুদ্দিন মিয়া তাদের বসবাসরত ঘরবাড়িসহ আশপাশের জমি তার বলে দাবি করতে শুরু করেন। এমনকি তাদের উৎখাত করতে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেন। জোরপূর্বক বাড়ির ভেতর পিলার গাড়েন। বাঁধা দিতে গেলে ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

সুবল চন্দ্র মাল জানান, পৈত্তিক সম্পত্তি হিসেবে তিনি ৬৬ শতাংশ জমির মালিক। এছাড়া তার নিঃসন্তান মাসি’র অংশ পেয়েছেন ২২ শতাংশ। প্রায় ৫ কোটি টাকা ওই সব জমি গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন সাহাবুদ্দিন বাহিনী। শুধু তাই নয় ওই এলাকার অপরাপর মানুষের জমিও নামে বেনামে দখল করতে শুরু করেছে। এলাকায় শাহাবুদ্দিন ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত হলেও অভিযোগ করেন সুবল চন্দ্র মালের পরিবার। এরা অভিযোগ করেন, এর আগে পৌরসভার বিচারে প্রমাণিত হয় সাহাবুদ্দিন তার ক্রয়কৃত ৬৩ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোন জমি পাবেন না। তারপরও তিনি জমি জোরপূর্বক দখল নিতে পিলার স্থাপন করেন। তবে সাহাবুদ্দিন দাবি করেন তিনি তার জমির সীমানা দিতে পিলার স্থাপন করেছেন। করো জমি দখল করেননি।

­এলাকার সাবেক কাউন্সিলর শওকত হোসেন জানান, গতবছর তিনি এক সালিশী বৈঠকে সাহাবুদ্দিন আর কোন জমি পাবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে ছিলেন।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

ভোলায় হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলা জেলা শহরের পৌর ৪নং উত্তর চরনোয়াবাদ এলাকায় শত বছরের পৈত্তিক বাড়ি ও সম্পত্তি থেকে সুবল চন্দ্র মালের পরিবারকে উৎখাতে মরিয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ ওঠেছে ভূমি দস্যু সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে নিরাপত্তা দাবির পাশপাশি ওই ভূমি দস্যুর বিচার দাবি করেন সুবল চন্দ্র মাল, ৭০ বছর বয়সী সবিতা রানী ভক্ত, গীতা রানী ভক্ত (৬০), শিখা রানী, অবনী রানী মাল। এরা জানান, তাদের দাদা বাসু চরণের জন্মও এই বাড়িতে হয়েছে। ৪ একরের ওপর সম্পত্তি ছিল তাদের। পিতা মনি চরণ মাল ও ওয়ারিশরা কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ৩০ বছর আগে ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ভূমি দস্যু মো. সাহাবুদ্দিন। ওই জমি তিনি বুঝে নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সাহাবুদ্দিন মিয়া তাদের বসবাসরত ঘরবাড়িসহ আশপাশের জমি তার বলে দাবি করতে শুরু করেন। এমনকি তাদের উৎখাত করতে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেন। জোরপূর্বক বাড়ির ভেতর পিলার গাড়েন। বাঁধা দিতে গেলে ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

সুবল চন্দ্র মাল জানান, পৈত্তিক সম্পত্তি হিসেবে তিনি ৬৬ শতাংশ জমির মালিক। এছাড়া তার নিঃসন্তান মাসি’র অংশ পেয়েছেন ২২ শতাংশ। প্রায় ৫ কোটি টাকা ওই সব জমি গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন সাহাবুদ্দিন বাহিনী। শুধু তাই নয় ওই এলাকার অপরাপর মানুষের জমিও নামে বেনামে দখল করতে শুরু করেছে। এলাকায় শাহাবুদ্দিন ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত হলেও অভিযোগ করেন সুবল চন্দ্র মালের পরিবার। এরা অভিযোগ করেন, এর আগে পৌরসভার বিচারে প্রমাণিত হয় সাহাবুদ্দিন তার ক্রয়কৃত ৬৩ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোন জমি পাবেন না। তারপরও তিনি জমি জোরপূর্বক দখল নিতে পিলার স্থাপন করেন। তবে সাহাবুদ্দিন দাবি করেন তিনি তার জমির সীমানা দিতে পিলার স্থাপন করেছেন। করো জমি দখল করেননি।

­এলাকার সাবেক কাউন্সিলর শওকত হোসেন জানান, গতবছর তিনি এক সালিশী বৈঠকে সাহাবুদ্দিন আর কোন জমি পাবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে ছিলেন।