সাতক্ষীরা, যশোরে সংক্রমণ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে

দিনাজপুরে বাড়ছে

সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্তের হার এখনও ৫০ শতাংশের ওপরে, যা রীতিমতো উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্তের পরিমাণ কম হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এ জেলায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। এদিকে জেলায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১ সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এদিকে যশোরেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ। দিনাজপুর হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের ওপরে : বাড়লো লকডাউনের মেয়াদ

সাতক্ষীরা : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। করোনা শনাক্তের সংখ্যা আগের কয়েক দিনের তুলনায় কমেছে। অবশ্য গতকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের দু’দিনের অর্ধেক। হঠাৎ করে নমুনা পরীক্ষা কমানোর কারণ সম্পর্কে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। যে কারণে পরীক্ষাও কম হয়েছে। এর আগের দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮২ জনের। এর মধ্যে ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শতাংশের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সোমবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮৭ জনের। এর মধ্যে পজেটিভ পাওয়া যায় ১০৩ জনের যা ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণ প্রত্যাশিতভাবে না কমায় সাতক্ষীরায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১ সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গে ৮ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে, করোনায় সাতক্ষীরায় শয্যা সংকট না থাকলেও রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড রয়েছে ১৫৫টি। করোনায় পজেটিভ রোগী ভর্তি আছেন ৫৪ জন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মানস কুমার মন্ডল অবিলম্বে হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক, ৩০ জন নার্স ও ৩০ জন ওয়ার্ডবয় নিয়োগের দাবি জানান।

সদর হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নেই। নেই হাইফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, নেই আইসিইউ ভেন্টিলেটর।

যশোর করোনার হটস্পট!

যশোর : করোনার হটস্পটে পরিণত হচ্ছে যশোর। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ। বুধবার মধ্যরাত থেকে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভা লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে যশোরে করোনা শনাক্তের হার আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে থাকে। জুন মাসের শুরু থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের হার। গত ৭ জুন শনাক্ত হয় ২৯ শতাংশ, ৮ জুন তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে। ৯ জুন শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া, যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় সাত হাজার ৭০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৪ জন। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭২ জন।

দিনাজপুরে হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগী

দিনাজপুর : জেলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা। দিনাজপুরে নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ১৪৪ জনে। জেলায় রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৬০১ জন।

জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, জনগণের অসচেতনতায় সীমান্তবর্তী এই জেলা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও ৭৮ হাজার ৮৩০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

রামেক করোনা ইউনিটে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত নয়দিনে (১ জুন থেকে ১০ জুন) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৯২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬, নওগাঁর ৭, নাটোরের ১। গতকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডের ২৭১ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯০ জন। আইসিইউতে রয়েছেন ১৮ জন।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

সাতক্ষীরা, যশোরে সংক্রমণ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে

দিনাজপুরে বাড়ছে

সংবাদ ডেস্ক

সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্তের হার এখনও ৫০ শতাংশের ওপরে, যা রীতিমতো উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্তের পরিমাণ কম হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এ জেলায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। এদিকে জেলায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১ সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এদিকে যশোরেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ। দিনাজপুর হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের ওপরে : বাড়লো লকডাউনের মেয়াদ

সাতক্ষীরা : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। করোনা শনাক্তের সংখ্যা আগের কয়েক দিনের তুলনায় কমেছে। অবশ্য গতকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের দু’দিনের অর্ধেক। হঠাৎ করে নমুনা পরীক্ষা কমানোর কারণ সম্পর্কে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। যে কারণে পরীক্ষাও কম হয়েছে। এর আগের দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮২ জনের। এর মধ্যে ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শতাংশের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সোমবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮৭ জনের। এর মধ্যে পজেটিভ পাওয়া যায় ১০৩ জনের যা ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণ প্রত্যাশিতভাবে না কমায় সাতক্ষীরায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১ সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গে ৮ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে, করোনায় সাতক্ষীরায় শয্যা সংকট না থাকলেও রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড রয়েছে ১৫৫টি। করোনায় পজেটিভ রোগী ভর্তি আছেন ৫৪ জন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মানস কুমার মন্ডল অবিলম্বে হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক, ৩০ জন নার্স ও ৩০ জন ওয়ার্ডবয় নিয়োগের দাবি জানান।

সদর হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নেই। নেই হাইফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, নেই আইসিইউ ভেন্টিলেটর।

যশোর করোনার হটস্পট!

যশোর : করোনার হটস্পটে পরিণত হচ্ছে যশোর। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ। বুধবার মধ্যরাত থেকে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভা লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে যশোরে করোনা শনাক্তের হার আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে থাকে। জুন মাসের শুরু থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের হার। গত ৭ জুন শনাক্ত হয় ২৯ শতাংশ, ৮ জুন তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে। ৯ জুন শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া, যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় সাত হাজার ৭০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৪ জন। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭২ জন।

দিনাজপুরে হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগী

দিনাজপুর : জেলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালেও বাড়ছে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা। দিনাজপুরে নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ১৪৪ জনে। জেলায় রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৬০১ জন।

জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, জনগণের অসচেতনতায় সীমান্তবর্তী এই জেলা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও ৭৮ হাজার ৮৩০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

রামেক করোনা ইউনিটে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত নয়দিনে (১ জুন থেকে ১০ জুন) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৯২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬, নওগাঁর ৭, নাটোরের ১। গতকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডের ২৭১ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯০ জন। আইসিইউতে রয়েছেন ১৮ জন।