বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যাবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি বাংলাদেশ সফর করতে চাই।’ সম্প্রতি আসামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলেই তিনি ঢাকা সফরে যাবেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

হিমন্তবিশ্ব শর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভিনন্দন বার্তা এবং বাংলাদেশের ক্রমাগত আর্থিক অগ্রতিকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন। এছাড়া গত ২ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ করেন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল ভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট অত্যন্ত জরুরি। সেজন্যই বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সহযোগিতা তুলে ধরতে হবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য দ্বার উন্মুক্ত হবে।

নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি এবং নাগরিক আইন প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, এর আগে আসামে যে এনআরসি হয়েছে তাতে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছে এজন্য সমীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন। তিনি বলেন, এরপর যারা বাদ পড়বেন তারা বিদেশি চিহ্নিতকরণ ট্রাইব্যুনালে সবাই নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ও বাংলাদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করবে। যতদিন না সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে ততদিন সেসব বিদেশিদের ভোটাধিকার স্থগিত থাকবে। তবে তারা নাগরিক হিসেবে অন্য যেসব সুবিধা রয়েছে সেসব পাবেন। সম্প্রতি ভারতের প্রথম শ্রেণীর একটি ইংরেজি দৈনিক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এ কথা বলেন।

সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এটা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিধি তৈরির জন্য তিন মাসের বাড়তি সময় দেয়া হয়েছে, এ বিধি তৈরি হলেই সিএএ বস্তবায়ন করা হবে।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী

দীপকমুখার্জী, কলকাতা

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যাবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি বাংলাদেশ সফর করতে চাই।’ সম্প্রতি আসামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলেই তিনি ঢাকা সফরে যাবেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

হিমন্তবিশ্ব শর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভিনন্দন বার্তা এবং বাংলাদেশের ক্রমাগত আর্থিক অগ্রতিকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন। এছাড়া গত ২ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ করেন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল ভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট অত্যন্ত জরুরি। সেজন্যই বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সহযোগিতা তুলে ধরতে হবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য দ্বার উন্মুক্ত হবে।

নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি এবং নাগরিক আইন প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, এর আগে আসামে যে এনআরসি হয়েছে তাতে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছে এজন্য সমীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন। তিনি বলেন, এরপর যারা বাদ পড়বেন তারা বিদেশি চিহ্নিতকরণ ট্রাইব্যুনালে সবাই নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ও বাংলাদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করবে। যতদিন না সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে ততদিন সেসব বিদেশিদের ভোটাধিকার স্থগিত থাকবে। তবে তারা নাগরিক হিসেবে অন্য যেসব সুবিধা রয়েছে সেসব পাবেন। সম্প্রতি ভারতের প্রথম শ্রেণীর একটি ইংরেজি দৈনিক আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এ কথা বলেন।

সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এটা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিধি তৈরির জন্য তিন মাসের বাড়তি সময় দেয়া হয়েছে, এ বিধি তৈরি হলেই সিএএ বস্তবায়ন করা হবে।