সরকার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ যেন সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সে লক্ষ্যে এ দেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তার সরকার তৃণমূল মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে চাই, তবে আমাদের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি শিল্পায়নের দ্রুত বিস্তার ঘটাতে চাই, তবে আমাদের নিজস্ব বাজার সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্যই সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘বেসরকারি তহবিলের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ’ ও ‘করোনাভাইরাস সহায়তা তহবিল’-এর জন্য অনুদান গ্রহণকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে তৃণমূল জনসাধারণকে অর্থনৈতিক সক্ষমতায় নিয়ে এসে তাদের দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়া এবং এভাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো।

তিনি বলেন, প্রত্যেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে আশ্রয় দেয়া এবং করোনাভাইরাসের অভিঘাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার লক্ষ্যে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা প্রদান করে এই তহবিল শুরু করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘করোনভাইরাস মহামারী দেশের অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছে। আমাদের এই বৈশ্বিক মহামারীর অভিঘাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে এবং আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

এদেশের মানুষকে একটি উন্নত দেশ উপহার দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছিলেন- যাতে এদেশের জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশ তার সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল এবং এই হত্যাকা-ের পর পূর্ববর্তী সরকারগুলো দেশের গৌরব ও সম্মান পুনরুদ্ধারে কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হবে। আর এ লক্ষ্যে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আত্ম-মর্যাদার সঙ্গে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।’

ব্যবসায়ীরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেন।

সংবিধানের ১৫ ধারার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করে সামনে এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত সমান গুরুত্বপূর্ণ। ‘বেসরকারি অর্থে গৃহনির্মাণ তহবিলে’ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছে সে গুলো হলোÑ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার (বিআইটিএসি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি), বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি), ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), অফিস অব দি চিফ ইন্সপেক্টর অব বয়লার্স এবং এসএমই ফাউন্ডেশন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এবং থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেড তহবিলে অর্থায়ন করেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, আশুগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বিআর পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এই তহবিলে অবদান রেখেছে।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ওয়ালটন গ্রুপ, হোসাফ গ্রুপ, পিএইচজি গ্রুপ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, বেঙ্গল গ্রুপ, শেলটেক গ্রুপ, লেদার ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, এনভয় গ্রুপ, মিনিস্টার গ্রুপ এবং লাবিব গ্রুপ ‘করোনাভাইরাস সহায়তা তহবিলে’ অবদান রেখেছে। এছাড়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড অ্যান্ড এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং হাবিব উল্লাহ দেওয়ান তহবিলে অবদান রেখেছেন।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

সরকার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী

বাসস

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ যেন সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সে লক্ষ্যে এ দেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তার সরকার তৃণমূল মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে চাই, তবে আমাদের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি শিল্পায়নের দ্রুত বিস্তার ঘটাতে চাই, তবে আমাদের নিজস্ব বাজার সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্যই সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘বেসরকারি তহবিলের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ’ ও ‘করোনাভাইরাস সহায়তা তহবিল’-এর জন্য অনুদান গ্রহণকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে তৃণমূল জনসাধারণকে অর্থনৈতিক সক্ষমতায় নিয়ে এসে তাদের দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়া এবং এভাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো।

তিনি বলেন, প্রত্যেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে আশ্রয় দেয়া এবং করোনাভাইরাসের অভিঘাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার লক্ষ্যে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা প্রদান করে এই তহবিল শুরু করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘করোনভাইরাস মহামারী দেশের অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছে। আমাদের এই বৈশ্বিক মহামারীর অভিঘাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে এবং আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

এদেশের মানুষকে একটি উন্নত দেশ উপহার দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছিলেন- যাতে এদেশের জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশ তার সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল এবং এই হত্যাকা-ের পর পূর্ববর্তী সরকারগুলো দেশের গৌরব ও সম্মান পুনরুদ্ধারে কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হবে। আর এ লক্ষ্যে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আত্ম-মর্যাদার সঙ্গে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।’

ব্যবসায়ীরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেন।

সংবিধানের ১৫ ধারার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করে সামনে এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত সমান গুরুত্বপূর্ণ। ‘বেসরকারি অর্থে গৃহনির্মাণ তহবিলে’ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছে সে গুলো হলোÑ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার (বিআইটিএসি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি), বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি), ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), অফিস অব দি চিফ ইন্সপেক্টর অব বয়লার্স এবং এসএমই ফাউন্ডেশন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এবং থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেড তহবিলে অর্থায়ন করেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, আশুগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বিআর পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এই তহবিলে অবদান রেখেছে।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ওয়ালটন গ্রুপ, হোসাফ গ্রুপ, পিএইচজি গ্রুপ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, বেঙ্গল গ্রুপ, শেলটেক গ্রুপ, লেদার ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, এনভয় গ্রুপ, মিনিস্টার গ্রুপ এবং লাবিব গ্রুপ ‘করোনাভাইরাস সহায়তা তহবিলে’ অবদান রেখেছে। এছাড়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড অ্যান্ড এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং হাবিব উল্লাহ দেওয়ান তহবিলে অবদান রেখেছেন।