নিজের টাকায় মেরামত করলেন প্রকল্প পরিচালক : কৃষক খুশি

জলকপাট! কৃষকের প্রাণ। কৃষি কাজে প্রধান সহায়ক। জলাবদ্ধতা, লোনা পানি থেকে ফসলি জমি রক্ষা, চাষাবাদে সময় মতো পানি ওঠানামার কাজে ব্যবহৃত হয় জলকপাট। সেই কপাট ভেঙ্গে গেট উন্মুক্ত হয়ে গেলে কৃষকদের কি অবস্থা হয় তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন রাঙ্গাবালী উপজেলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক। কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে গেট দিয়ে সচারাচর লোনা পানি ওঠানামা করতো ফসলি জমিতে। মেরামতে কোন বরাদ্দ না থাকায়, পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পরিচালক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে, নিজ খরচে মেরামত করেন এই কপাট। ভাঙ্গা কপাট পুনর্নির্মাণ করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যথাস্থানে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। কাঙ্খিত মেরামতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

জানা গেছে, ২০১১ সালে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজারে ওয়াপদার বেড়িবাঁধের ওপর অন্যান্য জায়গার মতো একসঙ্গে তিনটি জলকপাট নির্মাণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্মাণের পর থেকে পরিচালনার দায়িত্বে কেউ না থাকায় অনিয়মে চলছিল পানি ওঠা নামার কাজ। এতে বিপাকে পরে এলাকার কৃষক। সঠিক ফসল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। এসব দিক লক্ষ্য করে কৃষকদের সুবিধার্থে সঠিক সময় পানি ওঠানো নামানোর কাজে ‘প্রগতি’ সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব রহমানকে দায়িত্ব দেন কর্তৃপক্ষ। গতবছর থেকে সে তার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু, কবছর ধরে কপাটগুলো মেরামত না করায়, লোনা পানিতে জরাজীর্ণ কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে যায় প্রধান গেটটি। গত প্রায় ৪ মাস ধরে উন্মুক্ত গেট দিয়ে লোনা পানি ওঠানামা করে ফসলি জমিতে। শুরু হয়েছে হালুটির মৌসুম। মেরামতে আপাতত কোন বরাদ্দ না থাকায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিচালক নিজ খরচে এই কপাট পুনর্নির্মাণ করে আগের জায়গায় বসিয়ে দেন।

এ ব্যপারে পরিচালক রাজিব রহমান বলেন, গতবছর থেকে আমি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি। মেরামত না করায় জরাজীর্ণ কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত গেট দিয়ে লোনা পানি ওঠানামা করছে জমিতে। মেরামতের কোন বরাদ্দ আপাতত না থাকায়, চাষাবাদের কথা চিন্তা করে,কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে,আমার নিজ খরচে কপাট তৈরি করে, আগের জায়গায় বসিয়ে দিয়েছি। তবে স্থানীয় কিছু লোক আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। তারা তাদের স্বার্থে পূর্বের মতো কপাটগুলো ব্যবহার করতে চাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশফাকুর রহমান জানান, কপাট ভেঙ্গে পরার কথা সে জানতে পেরেছে এবং রাজিবকে মেরামত করার অনুমতি দিয়েছেন।

রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২

জলকপাট সংস্কারে সরকারি বরাদ্দ নেই

নিজের টাকায় মেরামত করলেন প্রকল্প পরিচালক : কৃষক খুশি

প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

জলকপাট! কৃষকের প্রাণ। কৃষি কাজে প্রধান সহায়ক। জলাবদ্ধতা, লোনা পানি থেকে ফসলি জমি রক্ষা, চাষাবাদে সময় মতো পানি ওঠানামার কাজে ব্যবহৃত হয় জলকপাট। সেই কপাট ভেঙ্গে গেট উন্মুক্ত হয়ে গেলে কৃষকদের কি অবস্থা হয় তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন রাঙ্গাবালী উপজেলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক। কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে গেট দিয়ে সচারাচর লোনা পানি ওঠানামা করতো ফসলি জমিতে। মেরামতে কোন বরাদ্দ না থাকায়, পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পরিচালক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে, নিজ খরচে মেরামত করেন এই কপাট। ভাঙ্গা কপাট পুনর্নির্মাণ করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যথাস্থানে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। কাঙ্খিত মেরামতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

জানা গেছে, ২০১১ সালে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজারে ওয়াপদার বেড়িবাঁধের ওপর অন্যান্য জায়গার মতো একসঙ্গে তিনটি জলকপাট নির্মাণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্মাণের পর থেকে পরিচালনার দায়িত্বে কেউ না থাকায় অনিয়মে চলছিল পানি ওঠা নামার কাজ। এতে বিপাকে পরে এলাকার কৃষক। সঠিক ফসল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। এসব দিক লক্ষ্য করে কৃষকদের সুবিধার্থে সঠিক সময় পানি ওঠানো নামানোর কাজে ‘প্রগতি’ সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব রহমানকে দায়িত্ব দেন কর্তৃপক্ষ। গতবছর থেকে সে তার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু, কবছর ধরে কপাটগুলো মেরামত না করায়, লোনা পানিতে জরাজীর্ণ কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে যায় প্রধান গেটটি। গত প্রায় ৪ মাস ধরে উন্মুক্ত গেট দিয়ে লোনা পানি ওঠানামা করে ফসলি জমিতে। শুরু হয়েছে হালুটির মৌসুম। মেরামতে আপাতত কোন বরাদ্দ না থাকায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিচালক নিজ খরচে এই কপাট পুনর্নির্মাণ করে আগের জায়গায় বসিয়ে দেন।

এ ব্যপারে পরিচালক রাজিব রহমান বলেন, গতবছর থেকে আমি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি। মেরামত না করায় জরাজীর্ণ কপাট ভেঙ্গে উন্মুক্ত গেট দিয়ে লোনা পানি ওঠানামা করছে জমিতে। মেরামতের কোন বরাদ্দ আপাতত না থাকায়, চাষাবাদের কথা চিন্তা করে,কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে,আমার নিজ খরচে কপাট তৈরি করে, আগের জায়গায় বসিয়ে দিয়েছি। তবে স্থানীয় কিছু লোক আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। তারা তাদের স্বার্থে পূর্বের মতো কপাটগুলো ব্যবহার করতে চাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশফাকুর রহমান জানান, কপাট ভেঙ্গে পরার কথা সে জানতে পেরেছে এবং রাজিবকে মেরামত করার অনুমতি দিয়েছেন।