ঈদুল আজহায় বৈধ বা অবৈধ কোন গরু ভারত থেকে আনা যাবে না

করোনা মহামারীর কারণে এবার ঈদুল আজহায় ভারত থেকে বৈধ-অবৈধ কোনভাবে যেন গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগে অনলাইনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নিদের্শনা দেন। সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সেজন্য নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর পশুর হাট বসাতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসাতে হবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মতো জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা নেবে।

সড়ক ও রেললাইনের পাশে হাট বসানো যাবে না উল্লেখ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেল লাইনের উপরে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার উপর পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগে এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেয়া যাবে না।

কোরবানি দেয়ার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়রসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সব জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এ বছরও এটি করা হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।

সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২ জিলকদ ১৪৪২

ঈদুল আজহায় বৈধ বা অবৈধ কোন গরু ভারত থেকে আনা যাবে না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনা মহামারীর কারণে এবার ঈদুল আজহায় ভারত থেকে বৈধ-অবৈধ কোনভাবে যেন গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগে অনলাইনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নিদের্শনা দেন। সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সেজন্য নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর পশুর হাট বসাতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসাতে হবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মতো জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা নেবে।

সড়ক ও রেললাইনের পাশে হাট বসানো যাবে না উল্লেখ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেল লাইনের উপরে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার উপর পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগে এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেয়া যাবে না।

কোরবানি দেয়ার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়রসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সব জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এ বছরও এটি করা হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।