যেখানে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে ইউপি নির্বাচন সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নূরুল হুদা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যেখানে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেসব এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে নিষেধ আছে, সেখানে নির্বাচন বন্ধ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ওইসব এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রোববার মাদারীপুরের শিবচরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এসব কথা জানান।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ইউপি নির্বাচন সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ অন্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকে আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি। যেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে, সেখানেই নির্বাচন বন্ধ করা হবে। করোনার সঙ্গে নির্বাচন কোন সাংঘর্ষিক বিষয় নয়। করোনা সংক্রমণ সম্প্রসারণের একমাত্র মাধ্যম নয়। ইতোমধ্যে তাই প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে কোন নির্বাচন নেই অথচ সেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। ভারতের যেসব রাজ্যে করোনার হার বেশি, সেখানে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যেখানে হয়েছে, সেখানে করোনার তেমন প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেসব ইউনিয়নে করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে শীঘ্রই নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে। নির্বাচনে করোনা খুব প্রভাব ফেলতে পারবে না।

সিইসি বলেন, মাঠপর্যায়ে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতারোধে স্থানীয় প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া কিছু কিছু ইউনিয়নে এবার পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২১ জুন প্রথম ধাপে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মাদারীপুরের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২ জিলকদ ১৪৪২

যেখানে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে ইউপি নির্বাচন সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নূরুল হুদা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যেখানে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেসব এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে নিষেধ আছে, সেখানে নির্বাচন বন্ধ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ওইসব এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রোববার মাদারীপুরের শিবচরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এসব কথা জানান।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ইউপি নির্বাচন সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ অন্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাকে আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি। যেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে, সেখানেই নির্বাচন বন্ধ করা হবে। করোনার সঙ্গে নির্বাচন কোন সাংঘর্ষিক বিষয় নয়। করোনা সংক্রমণ সম্প্রসারণের একমাত্র মাধ্যম নয়। ইতোমধ্যে তাই প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে কোন নির্বাচন নেই অথচ সেখানে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। ভারতের যেসব রাজ্যে করোনার হার বেশি, সেখানে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যেখানে হয়েছে, সেখানে করোনার তেমন প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেসব ইউনিয়নে করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে শীঘ্রই নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে। নির্বাচনে করোনা খুব প্রভাব ফেলতে পারবে না।

সিইসি বলেন, মাঠপর্যায়ে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতারোধে স্থানীয় প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া কিছু কিছু ইউনিয়নে এবার পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২১ জুন প্রথম ধাপে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মাদারীপুরের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।