হরতালে তেমন সাড়া মেলেনি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের টেকের বাজারে পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর আদালতের বাদলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে আদালত পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় আ’লীগের ১৬৩ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারা সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গতকাল সকাল ৯টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার সকালে আ’লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট-পেশকার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে এ ঘটনায় ফখরুল ইসলাম সবুজকে (৬৬) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করা হয় । কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং নিরাপরাধ কোন মানুষ যেন মামলায় হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
অন্যদিকে কেম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আ’লীগের ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল হয়েছে ঢিলেঢালা ভাবে। বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ডাক দেয় বাদলের অনুসারীরা। আতঙ্কে উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারের অনেক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও। উপজেলা সদর বসুরহাটে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি।
জীবন যাত্রা ছিল স্বাভাবিক। যদিও পৌর এলাকার বাইরে ছিল টান টান উত্তেজনা। বিভিন্ন ইউনিয়ন সড়কে বেরিগেট দিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা চালালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিকেটিং করতে পারেনি। এছাড়া বাদল মার খাওয়ায় তার নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যে দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২ জিলকদ ১৪৪২
হরতালে তেমন সাড়া মেলেনি
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের টেকের বাজারে পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর আদালতের বাদলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে আদালত পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় আ’লীগের ১৬৩ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারা সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার কোন আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গতকাল সকাল ৯টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার সকালে আ’লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট-পেশকার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে এ ঘটনায় ফখরুল ইসলাম সবুজকে (৬৬) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করা হয় । কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং নিরাপরাধ কোন মানুষ যেন মামলায় হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
অন্যদিকে কেম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আ’লীগের ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল হয়েছে ঢিলেঢালা ভাবে। বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ডাক দেয় বাদলের অনুসারীরা। আতঙ্কে উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারের অনেক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও। উপজেলা সদর বসুরহাটে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি।
জীবন যাত্রা ছিল স্বাভাবিক। যদিও পৌর এলাকার বাইরে ছিল টান টান উত্তেজনা। বিভিন্ন ইউনিয়ন সড়কে বেরিগেট দিয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা চালালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিকেটিং করতে পারেনি। এছাড়া বাদল মার খাওয়ায় তার নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যে দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।