প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা ইস্যুতে কোন ঝুঁকি নেয়া যাবে না। যখন যে এলাকায় সংক্রমণ বাড়বে স্থানীয়ভাবে সে এলাকা ‘ব্লক’ করে দিতে হবে।’ সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে তিনি এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব নির্দেশ দিয়েছেন বলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কোন নির্দেশনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “উনি বলছেন যে, এখন থেকে বলে দাও সবাইকে... লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সবাইকে অথরিটি দিয়ে দেয়া হলো। অলরেডি আমরা চিঠিতে বলে দিয়েছি। উনি আবার রিমাইন্ড করে দিতে বলেছেন। কোন রকম রিস্ক না নিতে। যেখানে যারা কমফোর্টেবল মনে করবেন, তারা সেখানে যেন সেখানে ব্লক করে দিয়ে এটাকে থামানোর চেষ্টা করে।”
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে মোটামুটি আলোচনা হয়ে গেছে। মিটিং ছাড়াও আলাপ হয়।’ অলরেডি আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথরিটি বা লোকাল গভমেন্ট যারা আছেন বা আর্মড ফোর্সেস বা ল এজেন্সিজ সবাইকে বলে দিয়েছি তারা স্থানীয়ভাবে বসে, যদি দেখেন কোন এলাকায় বেশি হচ্ছে (সংক্রমণ) সেই এলাকায় ইমফোর্স করা, ট্রিটমেন্টটা বেশি দেয়া বা লকডাউন; যেটা তারা কমফোর্টেবল ফিল করবে তারা সেভাবে। কারণ পুরো দেশ তো এখন একভাবে স্প্রেড করছে না।”
প্রধানমন্ত্রীসহ এটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যদি উনারা মনে করেন কোন এলাকা ব্লক করে দেবেন, সেটা স্থানীয়ভাবে সবাই মিলে আলোচনা করে ব্লক করে দিতে পারবেন।তিনি জানান, উত্তরবঙ্গে দিনাজপুরের সংক্রমণ একটু বেড়েছে। যশোরে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটু কমে এসেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। লকডাউন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে এখনও আলোচনা নাই। আরও তো দুই দিন সময় আছে। লকডাউনে সরকারি সব অফিস খোলা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা (লোকবল) ভাগ করে নিয়েছি। আমাদের অর্ধেকের বেশি আসে না।” এ সময় সাংবাদিকরা স্থানীয়ভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে কোন অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশীয় বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আপনাদের বিস্তারিত জানাবে।
বিদেশ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে অগ্রগতির কথা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে জানানো হবে বলে তিনি জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ব্যাপারে চলমান বিতর্ক নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনারা যেভাবে শুনেছেন, আমিও সেভাবেই শুনেছি। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোন আলোচনা হয়নি।’
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা ইস্যুতে কোন ঝুঁকি নেয়া যাবে না। যখন যে এলাকায় সংক্রমণ বাড়বে স্থানীয়ভাবে সে এলাকা ‘ব্লক’ করে দিতে হবে।’ সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে তিনি এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব নির্দেশ দিয়েছেন বলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কোন নির্দেশনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “উনি বলছেন যে, এখন থেকে বলে দাও সবাইকে... লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সবাইকে অথরিটি দিয়ে দেয়া হলো। অলরেডি আমরা চিঠিতে বলে দিয়েছি। উনি আবার রিমাইন্ড করে দিতে বলেছেন। কোন রকম রিস্ক না নিতে। যেখানে যারা কমফোর্টেবল মনে করবেন, তারা সেখানে যেন সেখানে ব্লক করে দিয়ে এটাকে থামানোর চেষ্টা করে।”
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে মোটামুটি আলোচনা হয়ে গেছে। মিটিং ছাড়াও আলাপ হয়।’ অলরেডি আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথরিটি বা লোকাল গভমেন্ট যারা আছেন বা আর্মড ফোর্সেস বা ল এজেন্সিজ সবাইকে বলে দিয়েছি তারা স্থানীয়ভাবে বসে, যদি দেখেন কোন এলাকায় বেশি হচ্ছে (সংক্রমণ) সেই এলাকায় ইমফোর্স করা, ট্রিটমেন্টটা বেশি দেয়া বা লকডাউন; যেটা তারা কমফোর্টেবল ফিল করবে তারা সেভাবে। কারণ পুরো দেশ তো এখন একভাবে স্প্রেড করছে না।”
প্রধানমন্ত্রীসহ এটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যদি উনারা মনে করেন কোন এলাকা ব্লক করে দেবেন, সেটা স্থানীয়ভাবে সবাই মিলে আলোচনা করে ব্লক করে দিতে পারবেন।তিনি জানান, উত্তরবঙ্গে দিনাজপুরের সংক্রমণ একটু বেড়েছে। যশোরে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটু কমে এসেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। লকডাউন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে এখনও আলোচনা নাই। আরও তো দুই দিন সময় আছে। লকডাউনে সরকারি সব অফিস খোলা থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা (লোকবল) ভাগ করে নিয়েছি। আমাদের অর্ধেকের বেশি আসে না।” এ সময় সাংবাদিকরা স্থানীয়ভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে কোন অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশীয় বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আপনাদের বিস্তারিত জানাবে।
বিদেশ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে অগ্রগতির কথা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে জানানো হবে বলে তিনি জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ব্যাপারে চলমান বিতর্ক নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনারা যেভাবে শুনেছেন, আমিও সেভাবেই শুনেছি। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোন আলোচনা হয়নি।’