রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা ফের ১৫ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ১৬ জুন থেকে বিধিনিষেধ জারি থাকবে ১ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে এই বিধিনিষেধ জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে অফিস। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে। সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার ও মুদি দোকানগুলো। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্য দোকান ও শপিং মল এবং দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, বার, হোটেল খোলা থাকবে। ৩০ শতাংশ লোককে ঢুকতে দেয়া যাবে শপিং মলে। অন্য জায়গায়তেও সেই সংখ্যাটি হবে ৩০ শতাংশ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোতে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় লকডাউন শিথিল করলেও একেবারে তুলে দেয়ার সাহস দেখাল না নবান্ন। জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত কার্যত লকডাউন জারি থাকবে বাংলাজুড়ে। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমছে। এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মেট্রো কিংবা লোকাল ট্রেন এখনই না চালানোর সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন রাজ্য সরকার। তবে ছাড় দেয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। দোকান-বাজার খোলার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যেতে পারে রেস্তোরাঁ, হোটেল, শপিং মল। তবে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এসব। রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বসার ব্যবস্থা করা যাবে। শপিং মলে ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশ করতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে তবেই এসব ব্যবসা চালানো যাবে। কর্মরত প্রত্যেকের যেন টিকাকরণ হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেই সকালে মর্নিং ওয়াক করা যাবে।
রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নাইট কার্ফ্যু না বলা হলেও এই সময়ে সমস্ত যাতায়াত কিংবা যান চলাচল বন্ধ থাকবে তবে এই সময়ে জরুরি কাজ ছাড়া রাস্তায় বের হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছু আপাতত বন্ধ থাকছে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২
প্রতিনিধি, কলকাতা
রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা ফের ১৫ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ১৬ জুন থেকে বিধিনিষেধ জারি থাকবে ১ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে এই বিধিনিষেধ জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে অফিস। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে। সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার ও মুদি দোকানগুলো। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্য দোকান ও শপিং মল এবং দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, বার, হোটেল খোলা থাকবে। ৩০ শতাংশ লোককে ঢুকতে দেয়া যাবে শপিং মলে। অন্য জায়গায়তেও সেই সংখ্যাটি হবে ৩০ শতাংশ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোতে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় লকডাউন শিথিল করলেও একেবারে তুলে দেয়ার সাহস দেখাল না নবান্ন। জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত কার্যত লকডাউন জারি থাকবে বাংলাজুড়ে। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমছে। এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মেট্রো কিংবা লোকাল ট্রেন এখনই না চালানোর সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন রাজ্য সরকার। তবে ছাড় দেয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। দোকান-বাজার খোলার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যেতে পারে রেস্তোরাঁ, হোটেল, শপিং মল। তবে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এসব। রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বসার ব্যবস্থা করা যাবে। শপিং মলে ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশ করতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে তবেই এসব ব্যবসা চালানো যাবে। কর্মরত প্রত্যেকের যেন টিকাকরণ হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেই সকালে মর্নিং ওয়াক করা যাবে।
রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নাইট কার্ফ্যু না বলা হলেও এই সময়ে সমস্ত যাতায়াত কিংবা যান চলাচল বন্ধ থাকবে তবে এই সময়ে জরুরি কাজ ছাড়া রাস্তায় বের হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছু আপাতত বন্ধ থাকছে বলেও জানানো হয়েছে।