মাদককে না বলুন

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ও যে সমস্যাটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত তা হচ্ছে মাদকাসক্তি। এ ভয়াবহ দুরারোগ্য ব্যাধি সমাজে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ে তরুণ প্রজন্মকে গ্রাস করছে। এর নীল দংশনের কারণে একটি সম্ভাবনাময় জাতি কীভাবে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ তার অন্যতম উদাহরণ।

মাদকসেবির অধিকাংশই যুবক, তাদের অধিকাংশেরই বয়স ২১-৩৫ বছরেরর মধ্যে। এছাড়াও বাংলাদেশের অবস্থান গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রায়াংগেলের মাঝামাঝি হওয়ার ফলে বাংলাদেশ চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা যুবসমাজের জন্য হুমকির একটি দিক।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন নেশা জাতীয় ও মাদক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করে যুবসমাজ নানা রকম সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে যেমন : চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, জোরপূর্বক চাঁদা আদায় ইত্যাদি। মাদকাসক্তির প্রভাবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে অধঃপতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাদকাসক্তির প্রভাবে যুবসমাজে নৈতিক অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকদ্রব্য যুবসমাজকে নেশাগ্রস্ত করছে, ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে। স্বাভাবিক জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকছে না, ফলে তারা পরিবার, সমাজও রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে প্রতিনিয়ত। যারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ সেই যুব-সমাজ যদি এমনভাবে মাদকদ্রব্যের নেশায় আক্রান্ত হয়ে নিজের জীবন নষ্ট করে, তাহলে জাতির জন্য তা হবে এক ভয়াবহ সর্বনাশ।

মাদকদ্রব্যের এই সর্বনাশা ব্যবহারের গতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক। মাদকাসক্তি আসলে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবার, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে যুবসমাজকে এ ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করা সম্ভব।

জনি রহমান

বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ , ২ আষাড় ১৪২৮ ৪ জিলকদ ১৪৪২

মাদককে না বলুন

image

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ও যে সমস্যাটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত তা হচ্ছে মাদকাসক্তি। এ ভয়াবহ দুরারোগ্য ব্যাধি সমাজে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ে তরুণ প্রজন্মকে গ্রাস করছে। এর নীল দংশনের কারণে একটি সম্ভাবনাময় জাতি কীভাবে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ তার অন্যতম উদাহরণ।

মাদকসেবির অধিকাংশই যুবক, তাদের অধিকাংশেরই বয়স ২১-৩৫ বছরেরর মধ্যে। এছাড়াও বাংলাদেশের অবস্থান গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রায়াংগেলের মাঝামাঝি হওয়ার ফলে বাংলাদেশ চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা যুবসমাজের জন্য হুমকির একটি দিক।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন নেশা জাতীয় ও মাদক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করে যুবসমাজ নানা রকম সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে যেমন : চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, জোরপূর্বক চাঁদা আদায় ইত্যাদি। মাদকাসক্তির প্রভাবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে অধঃপতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাদকাসক্তির প্রভাবে যুবসমাজে নৈতিক অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকদ্রব্য যুবসমাজকে নেশাগ্রস্ত করছে, ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে। স্বাভাবিক জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকছে না, ফলে তারা পরিবার, সমাজও রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে প্রতিনিয়ত। যারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ সেই যুব-সমাজ যদি এমনভাবে মাদকদ্রব্যের নেশায় আক্রান্ত হয়ে নিজের জীবন নষ্ট করে, তাহলে জাতির জন্য তা হবে এক ভয়াবহ সর্বনাশ।

মাদকদ্রব্যের এই সর্বনাশা ব্যবহারের গতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক। মাদকাসক্তি আসলে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবার, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে যুবসমাজকে এ ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করা সম্ভব।

জনি রহমান