ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্বসহ বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারণে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে বহু মানুষ। গত কয়েক দশকে শহরগুলোর জনসংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। আর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, যানজট, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ সবই বেড়েছে আমাদের শহরগুলোতে। সঙ্গে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও সুপেয় পানির অভাব। বছরের পর বছর ধরে চলছে খাল-বিল, নদীনালা, পুকুরসহ অন্যান্য জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারায় স্বস্তিরবৃষ্ট নগরবাসীর জন্য অস্বস্তি হয়ে যাচ্ছে।
মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা বাড়লেও জনসাধারণের জন্য গণপরিবহন এখনও অপ্রতুল। বর্তমান সময়ে বড় শহরগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যানজট।
ফলে প্রতিদিনই নগরবাসীর নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে শহরগুলোতে যেমন খোলা জায়গার পরিমাণ কমেছে, তেমনি খেলার মাঠের সংখ্যাও কমেছে। অনেক স্কুলে নেই খেলার মাঠের ব্যবস্থাও। ফলে শিশু কিশোরদের আসক্তি বাড়ছে স্মার্টফোনে।
আমাদের শহরগুলোকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে ত্বরিতগতিতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। নগরে জলাভূমি সংরক্ষণ, প্রশস্ত সড়ক, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ বৃদ্ধি করা, সবুজায়ন, বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হতে পারে। সর্বোপরি দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা, প্রশাসনের সদিচ্ছা আর দেশপ্রেমের মাধ্যমেই বসবাসের অযোগ্য শহরকে বাঁচানো সম্ভব।
অমিত হাসান
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ , ২ আষাড় ১৪২৮ ৪ জিলকদ ১৪৪২
ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্বসহ বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারণে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে বহু মানুষ। গত কয়েক দশকে শহরগুলোর জনসংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। আর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, যানজট, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ সবই বেড়েছে আমাদের শহরগুলোতে। সঙ্গে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও সুপেয় পানির অভাব। বছরের পর বছর ধরে চলছে খাল-বিল, নদীনালা, পুকুরসহ অন্যান্য জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারায় স্বস্তিরবৃষ্ট নগরবাসীর জন্য অস্বস্তি হয়ে যাচ্ছে।
মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা বাড়লেও জনসাধারণের জন্য গণপরিবহন এখনও অপ্রতুল। বর্তমান সময়ে বড় শহরগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যানজট।
ফলে প্রতিদিনই নগরবাসীর নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে শহরগুলোতে যেমন খোলা জায়গার পরিমাণ কমেছে, তেমনি খেলার মাঠের সংখ্যাও কমেছে। অনেক স্কুলে নেই খেলার মাঠের ব্যবস্থাও। ফলে শিশু কিশোরদের আসক্তি বাড়ছে স্মার্টফোনে।
আমাদের শহরগুলোকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে ত্বরিতগতিতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। নগরে জলাভূমি সংরক্ষণ, প্রশস্ত সড়ক, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ বৃদ্ধি করা, সবুজায়ন, বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হতে পারে। সর্বোপরি দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা, প্রশাসনের সদিচ্ছা আর দেশপ্রেমের মাধ্যমেই বসবাসের অযোগ্য শহরকে বাঁচানো সম্ভব।
অমিত হাসান