বুড়িগঙ্গা তীরের বর্জ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডে বুড়িগঙ্গার তীরের উভয় পাড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে নদী ভরাট ও পানি দূষণ হচ্ছে। এছাড়া ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমন কি দুর্গন্ধের কারণে রাস্তায় হাঁটাও যায় না। বাসাবাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার কর্মীরা নিয়ে গিয়ে তারাও ময়লা-আবর্জনা নদীর তীরে ফেলছে এতে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। কলকারখানা মালিকরা বলছে, ‘আমাদের এলাকার বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।’ এ কারণে অনেকে রাতের আঁধারে কলকারখানার বর্জ্য নদীর তীরে ফেলে যায়। এতে নদীর তীর ভরাট হয়ে যাচ্ছে।’

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ কারণে বাড়ির মালিকেরা নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধ করতে এখানে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। বাঁশের বেড়ার ওপর দিয়ে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার কয়লার ঘাট এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে টেকা যায় না এবং মশা-মাছি কারণে ঘরেও থাকা যায় না।’ জনজীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়ছে। এলাকায় বেশিভাগ মানুষই পরিবেশ দূষণের কারণে সৃষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত যেমন : শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি। তারা বাধা দিয়েও নদীতে আবর্জনা ফেলা রোধ করতে পারছেন না। এসব রোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবি�উটিএ) নজরদারি দরকার। সঙ্গে সঙ্গে সরকারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এসব দিকে নজরদারি রাখা উচিত। বিষয়টি অতিব জরুরি

মোহাম্মদ রাব্বি

বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ , ২ আষাড় ১৪২৮ ৪ জিলকদ ১৪৪২

বুড়িগঙ্গা তীরের বর্জ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডে বুড়িগঙ্গার তীরের উভয় পাড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে নদী ভরাট ও পানি দূষণ হচ্ছে। এছাড়া ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমন কি দুর্গন্ধের কারণে রাস্তায় হাঁটাও যায় না। বাসাবাড়ির আবর্জনা পরিষ্কার কর্মীরা নিয়ে গিয়ে তারাও ময়লা-আবর্জনা নদীর তীরে ফেলছে এতে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। কলকারখানা মালিকরা বলছে, ‘আমাদের এলাকার বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।’ এ কারণে অনেকে রাতের আঁধারে কলকারখানার বর্জ্য নদীর তীরে ফেলে যায়। এতে নদীর তীর ভরাট হয়ে যাচ্ছে।’

ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ কারণে বাড়ির মালিকেরা নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধ করতে এখানে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। বাঁশের বেড়ার ওপর দিয়ে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার কয়লার ঘাট এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে টেকা যায় না এবং মশা-মাছি কারণে ঘরেও থাকা যায় না।’ জনজীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়ছে। এলাকায় বেশিভাগ মানুষই পরিবেশ দূষণের কারণে সৃষ্ট হওয়া রোগে আক্রান্ত যেমন : শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি। তারা বাধা দিয়েও নদীতে আবর্জনা ফেলা রোধ করতে পারছেন না। এসব রোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবি�উটিএ) নজরদারি দরকার। সঙ্গে সঙ্গে সরকারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এসব দিকে নজরদারি রাখা উচিত। বিষয়টি অতিব জরুরি

মোহাম্মদ রাব্বি