করোনার মিউটেশন

ভাইরাসের জিনের পরিবর্তনকে বলা হয় ‘মিউটেশন’ বা রূপান্তর। যখন একই ভাইরাসের দুটি ধরনের স্ট্রেইন একই সঙ্গে ঘটে, তখন তাকে বলা হয় ডাবল মিউট্যান্ট। সব ভাইরাসই কিছু না কিছু রূপান্তর ঘটিয়ে চলে। রূপান্তর মানেই যে ভাইরাসটি বিপজ্জনক হবে, তা কিন্তু নয়। তবে যখন কোন রূপান্তরের কারণে একটি ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বা অধিকতর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, তখন বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে সতর্ক করে থাকেন।

করোনাভাইরাসও রূপ পাল্টাচ্ছে একের পর এক। বিজ্ঞানীরা যখন এ ভাইরাসের মোকাবিলায় হরেক রকমের ওষুধ ও টিকা তৈরিতে অহর্নিশ পরিশ্রম করে চলেছেন, ভাইরাসটিও নিত্যনতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।

করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর বিগত দেড় বছরের মধ্যে এ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনেই চার হাজারের অধিক মিউটেশন ঘটেছে। কিন্তু মিউটেশনে সৃষ্ট এসব ভ্যারিয়েন্টর বেশিরভাগই সংক্রমণের বিভিন্ন আঙ্গিকে বিশেষ কোন গুরুত্ব বহন করে না। কিছু ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট হলো ইউকে (বি.১.১.৭), ব্রাজিলিয়ান (পি.১), সাউথ আফ্রিকান (বি ১.৩৫১), ক্যালিফোর্নিয়ান (বি ১.৪২৯), ও ইন্ডিয়ান (বি.১.১৬৭)।

মিউটেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, রূপ পরিবর্তন করে অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মহামারীর এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবার সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন থাকার পাশাপাশি টিকা গ্রহণ করতে হবে।

শাপলা খাতুন

বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ , ২ আষাড় ১৪২৮ ৪ জিলকদ ১৪৪২

করোনার মিউটেশন

ভাইরাসের জিনের পরিবর্তনকে বলা হয় ‘মিউটেশন’ বা রূপান্তর। যখন একই ভাইরাসের দুটি ধরনের স্ট্রেইন একই সঙ্গে ঘটে, তখন তাকে বলা হয় ডাবল মিউট্যান্ট। সব ভাইরাসই কিছু না কিছু রূপান্তর ঘটিয়ে চলে। রূপান্তর মানেই যে ভাইরাসটি বিপজ্জনক হবে, তা কিন্তু নয়। তবে যখন কোন রূপান্তরের কারণে একটি ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বা অধিকতর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, তখন বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে সতর্ক করে থাকেন।

করোনাভাইরাসও রূপ পাল্টাচ্ছে একের পর এক। বিজ্ঞানীরা যখন এ ভাইরাসের মোকাবিলায় হরেক রকমের ওষুধ ও টিকা তৈরিতে অহর্নিশ পরিশ্রম করে চলেছেন, ভাইরাসটিও নিত্যনতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।

করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর বিগত দেড় বছরের মধ্যে এ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনেই চার হাজারের অধিক মিউটেশন ঘটেছে। কিন্তু মিউটেশনে সৃষ্ট এসব ভ্যারিয়েন্টর বেশিরভাগই সংক্রমণের বিভিন্ন আঙ্গিকে বিশেষ কোন গুরুত্ব বহন করে না। কিছু ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট হলো ইউকে (বি.১.১.৭), ব্রাজিলিয়ান (পি.১), সাউথ আফ্রিকান (বি ১.৩৫১), ক্যালিফোর্নিয়ান (বি ১.৪২৯), ও ইন্ডিয়ান (বি.১.১৬৭)।

মিউটেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, রূপ পরিবর্তন করে অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মহামারীর এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবার সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন থাকার পাশাপাশি টিকা গ্রহণ করতে হবে।

শাপলা খাতুন