৬ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দ্বাড়িয়াকান্দি-কুলিয়ারচর আঞ্চলিক সড়কের ভাটি দোয়ারিয়া এলাকায় নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণের কাজ গত ৪ মাস আগে শুরু হয়।
ব্রিজটি ভেঙে ফেলার আগেই বিকল্প হিসেবে সরকারি বরাদ্দকৃত ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের দক্ষিণ পাশ দিয়ে একটি ডাইবেশন (বিকল্প) রাস্তা নির্মাণ করে শামীম কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু সেই ডাইবেশন রাস্তা এক রাতের বৃষ্টির জলে ভেঙে খালের ভেতর উধাও হয়ে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকার মানুষের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বহু দাবি ও অপেক্ষার পর অবশেষে ব্রিজটির কাজ শুরু হলেও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছিল কাজটি। ৪ মাসেও পাইলিং এর কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে যে ডাইবেশন রাস্তা নির্মাণ করেছিল তা অত্যন্ত নি¤œমানের করে তৈরি করায় শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। শুনেছি এর জন্য অনেক টাকা বাজেট ছিল, কিন্তু ২/৩ লাখ টাকাও ডাইবেশনে খরচ করেনি। যেহেতু এটি একটি খালের উপর নির্মিত এবং সদরে যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই পানি চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা রেখে ও মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করার দরকার ছিল।
কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় এলজিইডি’র পক্ষ থেকে তদারকীর দায়িত্বে থাকা অফিসারের দুর্নীতি পরায়ণতার কারণে রাস্তাটি ভেঙে গেছে এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বস্তরের জনগণকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এম. সাজ্জাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রচুর বৃষ্টিতে পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ার ফলে এবং পর্যাপ্ত পানি চলাচলের জায়গা না থাকায় সড়কটি ভেঙে যায়। তবে আমরা খুব শীঘ্রই এটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে দিবো। আশা করছি আগামী শনিবার থেকে যান চলাচল করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২
৬ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রতিনিধি, ভৈরব
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দ্বাড়িয়াকান্দি-কুলিয়ারচর আঞ্চলিক সড়কের ভাটি দোয়ারিয়া এলাকায় নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণের কাজ গত ৪ মাস আগে শুরু হয়।
ব্রিজটি ভেঙে ফেলার আগেই বিকল্প হিসেবে সরকারি বরাদ্দকৃত ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের দক্ষিণ পাশ দিয়ে একটি ডাইবেশন (বিকল্প) রাস্তা নির্মাণ করে শামীম কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু সেই ডাইবেশন রাস্তা এক রাতের বৃষ্টির জলে ভেঙে খালের ভেতর উধাও হয়ে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকার মানুষের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বহু দাবি ও অপেক্ষার পর অবশেষে ব্রিজটির কাজ শুরু হলেও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছিল কাজটি। ৪ মাসেও পাইলিং এর কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে যে ডাইবেশন রাস্তা নির্মাণ করেছিল তা অত্যন্ত নি¤œমানের করে তৈরি করায় শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। শুনেছি এর জন্য অনেক টাকা বাজেট ছিল, কিন্তু ২/৩ লাখ টাকাও ডাইবেশনে খরচ করেনি। যেহেতু এটি একটি খালের উপর নির্মিত এবং সদরে যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই পানি চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা রেখে ও মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করার দরকার ছিল।
কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় এলজিইডি’র পক্ষ থেকে তদারকীর দায়িত্বে থাকা অফিসারের দুর্নীতি পরায়ণতার কারণে রাস্তাটি ভেঙে গেছে এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বস্তরের জনগণকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এম. সাজ্জাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রচুর বৃষ্টিতে পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ার ফলে এবং পর্যাপ্ত পানি চলাচলের জায়গা না থাকায় সড়কটি ভেঙে যায়। তবে আমরা খুব শীঘ্রই এটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে দিবো। আশা করছি আগামী শনিবার থেকে যান চলাচল করতে পারবে।