ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ লাঠিচার্জ, গুলি

আহত ২৬

ময়মনসিংহ নগরীর চর এলাকার চরকালীবাড়িতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ করার সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন ও ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলীসহ ছয় পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, করোনাকালীন সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে ছাত্রদল সমাবেশ করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বললে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষেপে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। মারাত্মক আহতাবস্থায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির নেতারা জানান, শহর এলাকা থেকে বাইরে গিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোলা জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। এখানে পুলিশ হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পিটিয়ে ও গুলি চালিয়ে আহত করেছে ও বেশ কজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

এদিকে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানার দাবি পুলিশের হামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তরা শাখার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি ওসি ফিরোজ তালুকদার।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

ময়মনসিংহে

ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ লাঠিচার্জ, গুলি

আহত ২৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ নগরীর চর এলাকার চরকালীবাড়িতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ করার সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন ও ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলীসহ ছয় পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, করোনাকালীন সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে ছাত্রদল সমাবেশ করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বললে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষেপে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। মারাত্মক আহতাবস্থায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির নেতারা জানান, শহর এলাকা থেকে বাইরে গিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোলা জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। এখানে পুলিশ হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পিটিয়ে ও গুলি চালিয়ে আহত করেছে ও বেশ কজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

এদিকে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানার দাবি পুলিশের হামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তরা শাখার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি ওসি ফিরোজ তালুকদার।