বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সেখানকার ৭৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগামী ২০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযানের প্রথম দিনে লোহারপুল এলাকা থেকে ব্যাটারিঘাট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে ১০টি।

আদালতের নির্দেশে তালিকা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হছে- এটা ভালো খবর। এখন জরুরি হচ্ছে এ অভিযান অব্যাহত রাখা। তালিকায় অনেক প্রভাবশালীদের স্থাপনা রয়েছে, কোন ফাঁক-ফোকরে সেগুলো যেন বাদ না পড়ে। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুর পাশে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা বাদ রেখে বিআইডাব্লিউটিএ’র নদীর সীমানাখুঁটি বসানোর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

আর সব উচ্ছেদ অভিযানের মতো এই অভিযানও যেন দখল-উচ্ছেদ-পুনঃদখলের একই চক্রে ঘুরপাক না খায়। অতীতে দেখা গেছে, কোন দখল উচ্ছেদ করার কিছুদিন পর আবারও দখলও হয়ে গেছে। সেই দখল উচ্ছেদের জন্য আবার আদলতে যেতে হয়, নতুন করে নির্দেশনা আনতে হয়, চালাতে হয় নতুন অভিযান। বছরের পর বছর এভাবেই চলতে থাকে ! দখল-উচ্ছেদ-পুনঃদখলের এ খেলার অবসান ঘটাতে হবে।

একই এলাকায় একই রকম উচ্ছেদ অভিযান বারবার চালানোর কেন প্রয়োজন হয় সেটা একটা প্রশ্ন। মূলত নজরদারির অভাবে নদ-নদীগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। দখল উচ্ছেদের পর সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটর করলে সেটা আবার দখল হওয়ার কথা নয় বা দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা যায়। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখল করে সেখানে চারতলা পাকা ভবনসহ ৭৪টি স্থাপনা একদিনে নির্মিত হয়নি। কিন্তু যখন এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তখন বাধা দেয়ার কেউ থাকে না। আমরা বলতে চাই, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলমুক্ত করার পর নিয়মিত মনিটর করতে হবে।

নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করাই যথেষ্ট নয়। দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেই দেশের নদী-নালা, খাল-বিল, জলশয় দখল হয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সেখানকার ৭৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগামী ২০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযানের প্রথম দিনে লোহারপুল এলাকা থেকে ব্যাটারিঘাট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে ১০টি।

আদালতের নির্দেশে তালিকা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হছে- এটা ভালো খবর। এখন জরুরি হচ্ছে এ অভিযান অব্যাহত রাখা। তালিকায় অনেক প্রভাবশালীদের স্থাপনা রয়েছে, কোন ফাঁক-ফোকরে সেগুলো যেন বাদ না পড়ে। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুর পাশে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা বাদ রেখে বিআইডাব্লিউটিএ’র নদীর সীমানাখুঁটি বসানোর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

আর সব উচ্ছেদ অভিযানের মতো এই অভিযানও যেন দখল-উচ্ছেদ-পুনঃদখলের একই চক্রে ঘুরপাক না খায়। অতীতে দেখা গেছে, কোন দখল উচ্ছেদ করার কিছুদিন পর আবারও দখলও হয়ে গেছে। সেই দখল উচ্ছেদের জন্য আবার আদলতে যেতে হয়, নতুন করে নির্দেশনা আনতে হয়, চালাতে হয় নতুন অভিযান। বছরের পর বছর এভাবেই চলতে থাকে ! দখল-উচ্ছেদ-পুনঃদখলের এ খেলার অবসান ঘটাতে হবে।

একই এলাকায় একই রকম উচ্ছেদ অভিযান বারবার চালানোর কেন প্রয়োজন হয় সেটা একটা প্রশ্ন। মূলত নজরদারির অভাবে নদ-নদীগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। দখল উচ্ছেদের পর সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটর করলে সেটা আবার দখল হওয়ার কথা নয় বা দখল হলেও শুরুতেই তা বন্ধ করা যায়। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখল করে সেখানে চারতলা পাকা ভবনসহ ৭৪টি স্থাপনা একদিনে নির্মিত হয়নি। কিন্তু যখন এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তখন বাধা দেয়ার কেউ থাকে না। আমরা বলতে চাই, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলমুক্ত করার পর নিয়মিত মনিটর করতে হবে।

নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করাই যথেষ্ট নয়। দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেই দেশের নদী-নালা, খাল-বিল, জলশয় দখল হয়ে যাচ্ছে।