জীবনযাত্রায় ই-কমার্সের ভূমিকা

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন

ইন্টারনেটের বদৌলতে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, পছন্দের জামা-কাপড় কেনা কিংবা বাস বা ট্রেনের টিকিট বুকিংসহ সবকিছুই এখন ঘরে বসে করা যায়। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোন জায়গায় মিনিটের মধ্যেই অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে লাগছে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া।

এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি। মানুষের সমাগম এড়িয়ে চলায় বা লকডাউনে বাসায় থাকায় মানুষ আরও বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। নতুন এই বাস্তবতায় মানুষ ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে নিজেকে; এখন সরাসরি দেখা করার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে, বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যাওয়ার চেয়ে মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার করার দিকে ঝুঁকছে। আর এভাবেই, অনলাইনে শপিং করার প্রতি মানুষের প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, বিস্তৃত হতে শুরু করেছে ই-কমার্স খাতের পরিসর।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি ব্যবস্থাপনায়ও এসেছে পরিবর্তন। নিজের হাতে দেখেশুনে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতারা যখন অনলাইনে অর্ডার করেন, তখন ক্রেতার কাছে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে পণ্য সরবরাহ করাটাই বিক্রেতার নিকট বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে এই চ্যালেঞ্জটিও সহজ হয়ে এসেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় এখন আগের চেয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। গত বছর ই-কমার্স খাতের ব্যাপ্তি ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্পষ্টতই অনলাইনে মানুষের আস্থার দিককে প্রতিফলিত করে। স্বভাবতই, অনলাইন শপিংয়ে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যাশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু, সামনে থেকে না দেখে শুধু অনলাইনে যোগাযোগ করে পণ্য কিনতে হয়, তাই ক্রেতারা বিক্রেতার কাছে পণ্যের মান ও গুণাগুণ নিশ্চিতের জন্য ব্র্যান্ডের আসল পণ্য আশা করেন। পাশাপাশি, অর্ডারকৃত পণ্য সময়মতো ডেলিভারি পাওয়াটাও তাদের চাওয়া।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

জীবনযাত্রায় ই-কমার্সের ভূমিকা

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন

image

ইন্টারনেটের বদৌলতে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, পছন্দের জামা-কাপড় কেনা কিংবা বাস বা ট্রেনের টিকিট বুকিংসহ সবকিছুই এখন ঘরে বসে করা যায়। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোন জায়গায় মিনিটের মধ্যেই অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে লাগছে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া।

এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি। মানুষের সমাগম এড়িয়ে চলায় বা লকডাউনে বাসায় থাকায় মানুষ আরও বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। নতুন এই বাস্তবতায় মানুষ ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে নিজেকে; এখন সরাসরি দেখা করার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে, বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যাওয়ার চেয়ে মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার করার দিকে ঝুঁকছে। আর এভাবেই, অনলাইনে শপিং করার প্রতি মানুষের প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, বিস্তৃত হতে শুরু করেছে ই-কমার্স খাতের পরিসর।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি ব্যবস্থাপনায়ও এসেছে পরিবর্তন। নিজের হাতে দেখেশুনে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতারা যখন অনলাইনে অর্ডার করেন, তখন ক্রেতার কাছে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে পণ্য সরবরাহ করাটাই বিক্রেতার নিকট বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে এই চ্যালেঞ্জটিও সহজ হয়ে এসেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় এখন আগের চেয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। গত বছর ই-কমার্স খাতের ব্যাপ্তি ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্পষ্টতই অনলাইনে মানুষের আস্থার দিককে প্রতিফলিত করে। স্বভাবতই, অনলাইন শপিংয়ে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যাশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু, সামনে থেকে না দেখে শুধু অনলাইনে যোগাযোগ করে পণ্য কিনতে হয়, তাই ক্রেতারা বিক্রেতার কাছে পণ্যের মান ও গুণাগুণ নিশ্চিতের জন্য ব্র্যান্ডের আসল পণ্য আশা করেন। পাশাপাশি, অর্ডারকৃত পণ্য সময়মতো ডেলিভারি পাওয়াটাও তাদের চাওয়া।