এক বছরে যুদ্ধ-সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত ২৯ লাখ মানুষ

বিশ্বে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৮ কোটির বেশি

সারাবিশ্বে করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো। এতে শুধু গত বছরই বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এপি

ফলে পৃথিবীতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখে। ২০১৯ সালেও যে সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ। এসব তথ্য ওঠে এসেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে এক বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষ বেড়েছে ৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৪২ শতংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভূমিষ্ঠ হওয়া ১০ লাখেরও বেশি শিশু জন্ম থেকেই শরণার্থী। এরা বড় হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। ফলে হুমকিতে রয়েছে শিশুদের ভবিষ্যৎ।

বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে রয়েছে ইউএনএইচসিআর-এর অধীন ২ কোটি ৭ লাখ শরণার্থী। এদের মধ্যে ৫০ লাখ ৭০ হাজার রয়েছেন প্যালেস্টাইন এবং বিভিন্ন দেশে বাস্তুচ্যুত ৩৯ লাখ ভেনেজুয়েলান।

এছাড়া নিজ দেশে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে আরও ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। ৪১ লাখ মানুষ আশ্রয় চাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো শুধুই সংখ্যা নয়। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদাভাবে গৃহহীন ও নিঃস্ব হওয়ার গল্প। মানবিক সাহায্যসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। এরমধ্যেও কিছু দেশ খোলা রেখেছিল তাদের সীমান্ত, আশ্রয় দিয়েছে বহু শরণার্থীকে।

image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এভাবেই নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিচ্ছে -রয়টার্স

আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ বা সংঘাতের জন্য প্রস্তুত উ. কোরিয়া
হাইকোর্টে অনুপস্থিত মমতা, পিছিয়ে গেল শুনানি
নেপালে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১১

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

এক বছরে যুদ্ধ-সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত ২৯ লাখ মানুষ

বিশ্বে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৮ কোটির বেশি

image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এভাবেই নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিচ্ছে -রয়টার্স

সারাবিশ্বে করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো। এতে শুধু গত বছরই বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এপি

ফলে পৃথিবীতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখে। ২০১৯ সালেও যে সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ। এসব তথ্য ওঠে এসেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে এক বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষ বেড়েছে ৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৪২ শতংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভূমিষ্ঠ হওয়া ১০ লাখেরও বেশি শিশু জন্ম থেকেই শরণার্থী। এরা বড় হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। ফলে হুমকিতে রয়েছে শিশুদের ভবিষ্যৎ।

বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে রয়েছে ইউএনএইচসিআর-এর অধীন ২ কোটি ৭ লাখ শরণার্থী। এদের মধ্যে ৫০ লাখ ৭০ হাজার রয়েছেন প্যালেস্টাইন এবং বিভিন্ন দেশে বাস্তুচ্যুত ৩৯ লাখ ভেনেজুয়েলান।

এছাড়া নিজ দেশে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে আরও ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। ৪১ লাখ মানুষ আশ্রয় চাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো শুধুই সংখ্যা নয়। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদাভাবে গৃহহীন ও নিঃস্ব হওয়ার গল্প। মানবিক সাহায্যসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারীর প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। এরমধ্যেও কিছু দেশ খোলা রেখেছিল তাদের সীমান্ত, আশ্রয় দিয়েছে বহু শরণার্থীকে।