যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ বা সংঘাতের জন্য প্রস্তুত উ. কোরিয়া

চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে কোন আপত্তি নেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের। শুধু আলোচনা নয় যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় যুদ্ধে করতেও প্রস্তুত তিনি। রয়টার্স

রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে এটাই কিম জং উনের প্রথম মন্তব্য। কিমের এমন মন্তব্য নতুন করে দু-দেশের সঙ্গে আালোচনার পথ উন্মুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন অনেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে উৎসাহী নন, যদি না কিম পরমাণু প্রকল্পরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেন। কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার মর্যাদা রক্ষায় নিজেদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে তার দেশ। তিনি জানান, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজের উপযুক্ত কৌশল এবং কৌশলগত প্রতিরোধের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথাও জানান। বৈঠকে কিম বলেন, আমাদের দেশের সম্মানের সুরক্ষার্থে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়া যে কোন তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনায় ঠাসা। পরমাণু অস্ত্র তৈরিসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়াংয়ে এ সপ্তাহে শুরু হওয়া বৈঠকে কিম তার দেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উত্তেজনার আঁচ পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণরে পর এক বিবৃতিতে বাইডেন উত্তর কোরিয়াকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি বলে বর্ণনা করেন।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ বা সংঘাতের জন্য প্রস্তুত উ. কোরিয়া

চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে কোন আপত্তি নেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের। শুধু আলোচনা নয় যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় যুদ্ধে করতেও প্রস্তুত তিনি। রয়টার্স

রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে এটাই কিম জং উনের প্রথম মন্তব্য। কিমের এমন মন্তব্য নতুন করে দু-দেশের সঙ্গে আালোচনার পথ উন্মুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন অনেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে উৎসাহী নন, যদি না কিম পরমাণু প্রকল্পরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেন। কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার মর্যাদা রক্ষায় নিজেদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে তার দেশ। তিনি জানান, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজের উপযুক্ত কৌশল এবং কৌশলগত প্রতিরোধের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথাও জানান। বৈঠকে কিম বলেন, আমাদের দেশের সম্মানের সুরক্ষার্থে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়া যে কোন তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনায় ঠাসা। পরমাণু অস্ত্র তৈরিসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়াংয়ে এ সপ্তাহে শুরু হওয়া বৈঠকে কিম তার দেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উত্তেজনার আঁচ পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণরে পর এক বিবৃতিতে বাইডেন উত্তর কোরিয়াকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি বলে বর্ণনা করেন।