নতুন মাদক নকল আইস!

উত্তরায় ল্যাব শনাক্ত

বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. জামিরুল ইসলাম জুবেইন এবং কলেজপড়ুয়া মো. আরাফাত আবেদীন রুদ্র। জুবেইন লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করলেও রুদ্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। নিয়মিত মাদক সেবনে কারণে জুবেইন ও রুদ্রের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। দুজনের দলকে বড় করতে তৌফিক হুসাইন, রাকিব বাসার খান, মো. খালেদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম সুবজসহ ১০ থেকে ১৫ জন মাদক সেবনকারীদের সমন্বয়ে একটি বড় গ্রুপ গঠন করে। সেবনকারী থেকে এক পর্যায়ে তারা হয়ে উঠে মাদক কারবারি। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে উত্তরায় গড়ে তোলে নকল মাদক তৈরির ল্যাব যার নাম দেয়া হয় মেথ ল্যাব। একটি গ্রুপকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ গ্রুপের ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব-৩। এর মধ্যে আটক মো. তৌফিক হুসাইন সমন্বয়কারী, মো. জামিরুল চৌধুরী জুবেইন, মো. খালেদ ইকবাল মাদক ব্যবসা এবং ল্যাবের অর্থদাতা, মো. আরাফাত আবেদীন রুদ্র মাদকের নতুন নতুন আইটেম তৈরির ‘বৈজ্ঞানিক’ মো. রাকিব বাসার খান, মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ সরবরাহকারী বলে দাবি করছে র‌্যাব। উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় এ অভিযানে খুঁজে বের করা হয় মাদকের ল্যাব। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আইস, ইয়াবা, বিদেশি মদ, গাঁজা এবং ১৩টি বিদেশি অস্ত্র এবং রেপ্লিকা অস্ত্র ও অন্যান্য ইলেকট্রিক শক যন্ত্র ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি।

র‌্যাবের ভাষ্য, আটক হওয়া সংঘবদ্ধ এ গ্রুপটি নিয়মিত মাদক সেবনে নতুন স্বাদ আনতে গিয়ে আইস, ইয়াবার সঙ্গে বিভিন্ন ওষুধ, ক্যামিক্যাল মিশ্রণ ঘটিয়ে সেবন করতে থাকে। যার নাম দেয়া হয় ঝক্কি বা ককটেল মাদক। এ ককটেল তৈরিতে পারদর্শী রুদ্র। মাদকসেবী ও কারবারিদের কছে রুদ্র বৈজ্ঞানিক বা ঝক্কি রুদ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। মূলত রুদ্র নিজের বাসায় ল্যাব তৈরি করে। এর অর্থায়ন করে জুবেইন ও খালেদ ইকবাল। তারা দু’জনের বাবাই অর্থবিত্তের মালিক। অন্যরা তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করত।

‘আটক জুবেইন লন্ডন হতে বিবিএ, তৌফিক বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হতে বিবিএ, খালেদ বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হতে এমবিএ, গ্রেপ্তারকৃত রুদ্র ও সাইফুল এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশুনা করেনি। খালেদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। গ্রেপ্তারকৃত রুদ্রের নামে ৩টি মাদক মামলা রয়েছে এবং জুবেইনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে’।

র‌্যাবের ভাষ্য, র‌্যাব-৩ মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে মাদক তৈরির ল্যাব আছে বলে জানতে পারে। ওই মাদকের ল্যাবে বিভিন্ন ক্যামিক্যাল মিশিয়ে আইস নামের মাদক তৈরি করা হতো। এছাড়া ইয়াবার রং পরিবর্তন করে সেগুলো বাজারজাত করা হতো যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়ানো যায়। ইয়াবা ট্যাবলেট যাতে কেউ চিনতে না পারে এজন্য ইয়াবার রং পরিবর্তনের কাজটিও মেথ ল্যাবে করা হতো। এর ল্যাবটি মূলত গড়ে তোলা হয় আরফাত আবেদিন রুদ্রের বাড়িতে।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, জুবেইন এবং খালেদ ইকবাল, রুদ্রসহ আটক হওয়া ৬ জনই দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। মাদক সেবনের সূত্র ধরে একে অন্যেরের সঙ্গে সখ্য হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই কারবারি হয়ে পড়ে। শুরু করে মাদক ব্যবসা। তাদের কাস্টমার হিসেবে সহপাঠী, ধনাঢ্য পরিবারে ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন রয়েছে। এদের কাছে তারা ইয়াবার রং পরিবর্তন করে বিক্রি করত। আর নতুন মাদক আইসের দাম বেশি হওয়ায় তার সঙ্গে অন্যান্য ক্যামিক্যাল মিশিয়ে পরিমাণ বাড়াত যা বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করত। রুদ্র, জুবেইন ও খালেদের বাসায় মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসত।

র‌্যাব বলছে,‘ ল্যাব তৈরি করে সেখানে এক মাদকের সঙ্গে অন্য মাদক অথবা ক্যামিক্যল মিশ্রণের কাজটি করতেন রুদ্র নিজেই। নিজ বাড়িতেও রুদ্র ল্যাব গড়ে তোলে। রুদ্র কেমিস্ট হিসেবে ‘মেথ ল্যাব’ পরিচালনা করত। গ্রেপ্তারকৃত সবুজ সংগ্রহ ও সরবরাহকারী, এ চক্রে আরও ১০-১৫ জন রয়েছে। অর্থায়নে ছিল জুবেইন এবং খালেদ ইকবাল। এদের দু’জনের বাবাই ব্যবসায়ী। অঢেল টাকা হওয়ায় এরা মাদকের জন্য বিনিয়োগ করে। জুবেইনের প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকার অর্থ খরচ হয় শুধু ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবনের জন্য। তৌফিক পুরো টিমের সমন্বয়কারী। অন্যরা কাস্টমার যোগার করা, মাদক সরবরাহের কাজগুলো করে থাকে বলেন কমান্ডার আল মইন।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ‘মেথ ল্যাব’ তৈরি করে ভেজাল আইস, ইয়াবার রং পরিবর্তন, ঝাক্কি মিক্স (ঝাক্কি ককটেল) মাদক ছাড়াও পরিশুদ্ধ আইস ও ইয়াবাও সরবরাহ করত তারা এবং নিজেরাও সেবন করত। মাদক সেবনের জন্য তারা উত্তরায় একটি বাইং হাউজের নামে বাসা ভাড়া করে গোপনে মাদক সেবন ও অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সেখানে বিভিন্ন বয়সী নারী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীরাও আসত। ওই আস্তানায় তারা অত্যাধুনিক বিভিন্ন অস্ত্রও রাখত। এসব অস্ত্রে অ্যামিং গেম পরিচালনা করত। মাদক সেবন এবং অস্ত্র দিয়ে গেম খেলার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিত চক্রটি। অনেক সময় মাদক সেবন করতে আসা তরুণ-তরুণীদের নেশার মাত্রা বাড়িয়ে দিত। অতিমাত্রায় নেশার কারণে তরুণ-তরুণীরা নানা রকম আচরণ করত। অনেক সময় নেশার কারণে হুশজ্ঞানও থাকত না। তরুণ-তরুণীরা একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরা, অশ্লীল নাচগান, অসামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়ত। এর এসব কর্মকাণ্ডের গোপন ভিডিও জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিত। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেও মাদকসেবীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। সেখানে কোন ধরনের ঝামেলা হলে বা তাদের কারবারে বাধা সৃষ্টি করা হলে নির্যাতন করারও ঘটনা ঘটত।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

নতুন মাদক নকল আইস!

উত্তরায় ল্যাব শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. জামিরুল ইসলাম জুবেইন এবং কলেজপড়ুয়া মো. আরাফাত আবেদীন রুদ্র। জুবেইন লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করলেও রুদ্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। নিয়মিত মাদক সেবনে কারণে জুবেইন ও রুদ্রের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। দুজনের দলকে বড় করতে তৌফিক হুসাইন, রাকিব বাসার খান, মো. খালেদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম সুবজসহ ১০ থেকে ১৫ জন মাদক সেবনকারীদের সমন্বয়ে একটি বড় গ্রুপ গঠন করে। সেবনকারী থেকে এক পর্যায়ে তারা হয়ে উঠে মাদক কারবারি। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে উত্তরায় গড়ে তোলে নকল মাদক তৈরির ল্যাব যার নাম দেয়া হয় মেথ ল্যাব। একটি গ্রুপকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ গ্রুপের ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব-৩। এর মধ্যে আটক মো. তৌফিক হুসাইন সমন্বয়কারী, মো. জামিরুল চৌধুরী জুবেইন, মো. খালেদ ইকবাল মাদক ব্যবসা এবং ল্যাবের অর্থদাতা, মো. আরাফাত আবেদীন রুদ্র মাদকের নতুন নতুন আইটেম তৈরির ‘বৈজ্ঞানিক’ মো. রাকিব বাসার খান, মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ সরবরাহকারী বলে দাবি করছে র‌্যাব। উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় এ অভিযানে খুঁজে বের করা হয় মাদকের ল্যাব। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আইস, ইয়াবা, বিদেশি মদ, গাঁজা এবং ১৩টি বিদেশি অস্ত্র এবং রেপ্লিকা অস্ত্র ও অন্যান্য ইলেকট্রিক শক যন্ত্র ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি।

র‌্যাবের ভাষ্য, আটক হওয়া সংঘবদ্ধ এ গ্রুপটি নিয়মিত মাদক সেবনে নতুন স্বাদ আনতে গিয়ে আইস, ইয়াবার সঙ্গে বিভিন্ন ওষুধ, ক্যামিক্যাল মিশ্রণ ঘটিয়ে সেবন করতে থাকে। যার নাম দেয়া হয় ঝক্কি বা ককটেল মাদক। এ ককটেল তৈরিতে পারদর্শী রুদ্র। মাদকসেবী ও কারবারিদের কছে রুদ্র বৈজ্ঞানিক বা ঝক্কি রুদ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। মূলত রুদ্র নিজের বাসায় ল্যাব তৈরি করে। এর অর্থায়ন করে জুবেইন ও খালেদ ইকবাল। তারা দু’জনের বাবাই অর্থবিত্তের মালিক। অন্যরা তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করত।

‘আটক জুবেইন লন্ডন হতে বিবিএ, তৌফিক বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হতে বিবিএ, খালেদ বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হতে এমবিএ, গ্রেপ্তারকৃত রুদ্র ও সাইফুল এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশুনা করেনি। খালেদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। গ্রেপ্তারকৃত রুদ্রের নামে ৩টি মাদক মামলা রয়েছে এবং জুবেইনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে’।

র‌্যাবের ভাষ্য, র‌্যাব-৩ মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে মাদক তৈরির ল্যাব আছে বলে জানতে পারে। ওই মাদকের ল্যাবে বিভিন্ন ক্যামিক্যাল মিশিয়ে আইস নামের মাদক তৈরি করা হতো। এছাড়া ইয়াবার রং পরিবর্তন করে সেগুলো বাজারজাত করা হতো যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়ানো যায়। ইয়াবা ট্যাবলেট যাতে কেউ চিনতে না পারে এজন্য ইয়াবার রং পরিবর্তনের কাজটিও মেথ ল্যাবে করা হতো। এর ল্যাবটি মূলত গড়ে তোলা হয় আরফাত আবেদিন রুদ্রের বাড়িতে।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, জুবেইন এবং খালেদ ইকবাল, রুদ্রসহ আটক হওয়া ৬ জনই দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। মাদক সেবনের সূত্র ধরে একে অন্যেরের সঙ্গে সখ্য হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই কারবারি হয়ে পড়ে। শুরু করে মাদক ব্যবসা। তাদের কাস্টমার হিসেবে সহপাঠী, ধনাঢ্য পরিবারে ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন রয়েছে। এদের কাছে তারা ইয়াবার রং পরিবর্তন করে বিক্রি করত। আর নতুন মাদক আইসের দাম বেশি হওয়ায় তার সঙ্গে অন্যান্য ক্যামিক্যাল মিশিয়ে পরিমাণ বাড়াত যা বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করত। রুদ্র, জুবেইন ও খালেদের বাসায় মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসত।

র‌্যাব বলছে,‘ ল্যাব তৈরি করে সেখানে এক মাদকের সঙ্গে অন্য মাদক অথবা ক্যামিক্যল মিশ্রণের কাজটি করতেন রুদ্র নিজেই। নিজ বাড়িতেও রুদ্র ল্যাব গড়ে তোলে। রুদ্র কেমিস্ট হিসেবে ‘মেথ ল্যাব’ পরিচালনা করত। গ্রেপ্তারকৃত সবুজ সংগ্রহ ও সরবরাহকারী, এ চক্রে আরও ১০-১৫ জন রয়েছে। অর্থায়নে ছিল জুবেইন এবং খালেদ ইকবাল। এদের দু’জনের বাবাই ব্যবসায়ী। অঢেল টাকা হওয়ায় এরা মাদকের জন্য বিনিয়োগ করে। জুবেইনের প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকার অর্থ খরচ হয় শুধু ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবনের জন্য। তৌফিক পুরো টিমের সমন্বয়কারী। অন্যরা কাস্টমার যোগার করা, মাদক সরবরাহের কাজগুলো করে থাকে বলেন কমান্ডার আল মইন।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ‘মেথ ল্যাব’ তৈরি করে ভেজাল আইস, ইয়াবার রং পরিবর্তন, ঝাক্কি মিক্স (ঝাক্কি ককটেল) মাদক ছাড়াও পরিশুদ্ধ আইস ও ইয়াবাও সরবরাহ করত তারা এবং নিজেরাও সেবন করত। মাদক সেবনের জন্য তারা উত্তরায় একটি বাইং হাউজের নামে বাসা ভাড়া করে গোপনে মাদক সেবন ও অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সেখানে বিভিন্ন বয়সী নারী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীরাও আসত। ওই আস্তানায় তারা অত্যাধুনিক বিভিন্ন অস্ত্রও রাখত। এসব অস্ত্রে অ্যামিং গেম পরিচালনা করত। মাদক সেবন এবং অস্ত্র দিয়ে গেম খেলার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিত চক্রটি। অনেক সময় মাদক সেবন করতে আসা তরুণ-তরুণীদের নেশার মাত্রা বাড়িয়ে দিত। অতিমাত্রায় নেশার কারণে তরুণ-তরুণীরা নানা রকম আচরণ করত। অনেক সময় নেশার কারণে হুশজ্ঞানও থাকত না। তরুণ-তরুণীরা একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরা, অশ্লীল নাচগান, অসামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়ত। এর এসব কর্মকাণ্ডের গোপন ভিডিও জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিত। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেও মাদকসেবীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। সেখানে কোন ধরনের ঝামেলা হলে বা তাদের কারবারে বাধা সৃষ্টি করা হলে নির্যাতন করারও ঘটনা ঘটত।