নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুনের পলাতক আসামি সাড়ে তিন বছর পর গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুরে জোড়া খুনের মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি শহীদকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জ জেলার কোড়েরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে আনা হয়।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) শাকিল আহমেদ জানান, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর কাশীপুর ইউনিয়নের হোসাইনীনগর এলাকায় সংঘটিত জোড়া খুনের মামলার এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামি শহীদ। এই মামলার আরেক আসামির দেয়া জবানবন্দিতেও এই আসামির নাম এসেছে। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। গোপন সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জোড়া খুন মামলার এই দুর্ধর্ষ আসামিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কোড়েরপাড় এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। গতরাতে গ্রেপ্তার করা হলেও সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ কার্যক্রম শেষে তাকে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে আনা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই।

গত ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউপির হোসাইনী নগর এলাকায় একটি গ্যারেজে তুহিন হাওলাদার মিলটন (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আতঙ্কে মামলা করার সাহস পায়নি। পরে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বেপারিকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও শতাধিক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহতরা ওই এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রক, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর বেপারি গ্রুপের সহযোগী ছিলেন। মাদক ব্যবসা, অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকা- এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত তুহিন হাওলাদার মিলটন ও জাহাঙ্গীর বেপারি বিভক্ত হয়ে পৃথক গ্রুপ তৈরি করে এবং তারা দুজন নেতৃত্ব দেয়। অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে মিলটনের নেতৃত্বে তার লোকজন জাহাঙ্গীর আলম বেপারি গ্রুপের সদস্য বাপ্পীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনার জের ধরে জাহাঙ্গীর আলম বেপারির নেতৃত্বে আসামিরা ১২ অক্টোবর রাত সোয়া ৯টায় কাশীপুর হোসাইনী নগর এলাকায় রাজীবের রিকশা গ্যারেজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিলটন ও তার কর্মচারী পারভেজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। আলামত নষ্ট করতে রিকশা গ্যারেজটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন সময় এই মামলার কয়েক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুনের পলাতক আসামি সাড়ে তিন বছর পর গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুরে জোড়া খুনের মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি শহীদকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জ জেলার কোড়েরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে আনা হয়।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) শাকিল আহমেদ জানান, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর কাশীপুর ইউনিয়নের হোসাইনীনগর এলাকায় সংঘটিত জোড়া খুনের মামলার এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামি শহীদ। এই মামলার আরেক আসামির দেয়া জবানবন্দিতেও এই আসামির নাম এসেছে। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। গোপন সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জোড়া খুন মামলার এই দুর্ধর্ষ আসামিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কোড়েরপাড় এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। গতরাতে গ্রেপ্তার করা হলেও সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ কার্যক্রম শেষে তাকে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে আনা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই।

গত ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউপির হোসাইনী নগর এলাকায় একটি গ্যারেজে তুহিন হাওলাদার মিলটন (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আতঙ্কে মামলা করার সাহস পায়নি। পরে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বেপারিকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও শতাধিক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহতরা ওই এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রক, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর বেপারি গ্রুপের সহযোগী ছিলেন। মাদক ব্যবসা, অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকা- এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত তুহিন হাওলাদার মিলটন ও জাহাঙ্গীর বেপারি বিভক্ত হয়ে পৃথক গ্রুপ তৈরি করে এবং তারা দুজন নেতৃত্ব দেয়। অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে মিলটনের নেতৃত্বে তার লোকজন জাহাঙ্গীর আলম বেপারি গ্রুপের সদস্য বাপ্পীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনার জের ধরে জাহাঙ্গীর আলম বেপারির নেতৃত্বে আসামিরা ১২ অক্টোবর রাত সোয়া ৯টায় কাশীপুর হোসাইনী নগর এলাকায় রাজীবের রিকশা গ্যারেজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিলটন ও তার কর্মচারী পারভেজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। আলামত নষ্ট করতে রিকশা গ্যারেজটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন সময় এই মামলার কয়েক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।