ডিপিডিসি’র ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হাতিরপুল এলাকায় গতকাল আধুনিক ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার আধুনিক ও নান্দনিক নির্মাণ শৈলীর এক অনন্য উদাহরণ হতে চলেছে। এ ভবনের নকশায় ৫০ শতাংশেরও বেশি জায়গা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। টুইন টাওয়ারের প্রশস্ত ওয়াকওয়ের ঠিক পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হিসেবে একটি ভাস্কর্য এবং কৃত্রিম জলাধারের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলক নির্মিত হবে। টাওয়ারে ৩ তলা বেসমেন্ট বিশিষ্ট কার পার্কিং থাকবে যেখানে একসঙ্গে ৮০৮টি গাড়ি পার্ক করা যাবে। ভবনের নান্দনিক নকশার মধ্যে বাণিজ্যিক অঞ্চল, ডিজিটাল যাদুঘর, সিনপ্লেক্স, ক্যাফে এবং ফুড-কোর্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও একটি ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন নির্মিত হবে। যার মাধ্যমে নগরবাসীকে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ৮.৩২ একর জায়গায় নির্মিতব্য ভবনের বাজেট ৪৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ-চায়নার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেটি স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত গণচীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে তার বক্তব্যে বলেন, এ প্রকল্প বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতার অন্যতম একটি অংশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. হাবিবুর রহমান, সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, ডিপিডিসি পরিচালনা পর্ষদ এবং টিবিইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মিস্টার জ্যাকি চেন ডং। ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা, চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, টিবিইএ, চায়না এক্সিম ব্যাংক ও ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

ডিপিডিসি’র ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হাতিরপুল এলাকায় গতকাল আধুনিক ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার আধুনিক ও নান্দনিক নির্মাণ শৈলীর এক অনন্য উদাহরণ হতে চলেছে। এ ভবনের নকশায় ৫০ শতাংশেরও বেশি জায়গা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। টুইন টাওয়ারের প্রশস্ত ওয়াকওয়ের ঠিক পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হিসেবে একটি ভাস্কর্য এবং কৃত্রিম জলাধারের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলক নির্মিত হবে। টাওয়ারে ৩ তলা বেসমেন্ট বিশিষ্ট কার পার্কিং থাকবে যেখানে একসঙ্গে ৮০৮টি গাড়ি পার্ক করা যাবে। ভবনের নান্দনিক নকশার মধ্যে বাণিজ্যিক অঞ্চল, ডিজিটাল যাদুঘর, সিনপ্লেক্স, ক্যাফে এবং ফুড-কোর্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও একটি ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন নির্মিত হবে। যার মাধ্যমে নগরবাসীকে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ৮.৩২ একর জায়গায় নির্মিতব্য ভবনের বাজেট ৪৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ-চায়নার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেটি স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত গণচীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে তার বক্তব্যে বলেন, এ প্রকল্প বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতার অন্যতম একটি অংশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. হাবিবুর রহমান, সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ ও চেয়ারম্যান, ডিপিডিসি পরিচালনা পর্ষদ এবং টিবিইএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মিস্টার জ্যাকি চেন ডং। ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা, চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, টিবিইএ, চায়না এক্সিম ব্যাংক ও ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।