কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে

আসন্ন কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গবাদি পশু আছে। এ অবস্থায় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পশু আনা হলে দেশি ছোট-বড় খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনকি তারা হতাশ হয়ে পশু পালন বন্ধ করে দিতে পারেন। আবার অনেকেই বেকার হয়ে পড়তে পারেন। তাই দেশীয় খামারিদের উৎসাহ দেয়ার জন্য সীমান্ত পথে কঠোর নজরদারি করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আজিজুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, কোরবানির ঈদে দেশে গবাদি পশুর চাহিদা ৯৪ লাখ। আরও ৫ লাখ বাড়িয়ে ৯৯ লাখ টার্গেট ধরা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, সারাদেশে গবাদি পশুর খামারগুলোতে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার সংখ্যা এক কোটি ১৯ লাখ। এছাড়া ৪ হাজার দুম্বা ও উট রয়েছে। কোরবানির যোগ্য এসব পশু দিয়ে দেশবাসী কোরবানি দিতে পারবেন। এতে কোন অসুবিধা হবে না বলে দাবি করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, কোরবানি দেয়ার পর অবিক্রীত অবস্থায় কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লাখ পশু থেকে যায়। গত তিন বছরে কোরবানির পশুর কোন অভাব দেশে হয়নি। বরং গত বছর ১০ লাখ পশু অবিক্রীত রয়ে গেছে। আর ২০১৯ সালে ৫ লাখ পশু অবিক্রীত ছিল। সূত্র মতে, যে বছর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর নির্বাচনের আগে এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক নেতারা কোরবানি দিয়ে অনেকেই মাংস বিলি করার জন্য অতিরিক্ত পশুর দরকার হয়। এ বছর ওই ধরনের তৎপরতা নেই। এছাড়া এখন দেশজুড়ে করোনা মহামারী চলছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, খামারিরা বেশি দামের জন্য আগে পশুকে ওষুধ খাইয়ে মোটা তাজা করত। ওই ওষুধকে পাম্প বড়ি বলা হত। এখন তা বন্ধ। মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। এখন খামারিরা এ অনিয়ম করছে না। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই গোপনে ঈদের আগে পশুর হাটে নেয়ার সময় মোটা তাজা করছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, গত বধুবার বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে গবাদি পশুতে দেশ স্বাবলম্বী। তাই সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে দেশে পশু ঢুকতে না পারে তার জন্য এ বছর আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি জানিয়েছেন।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে

বাকী বিল্লাহ

আসন্ন কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গবাদি পশু আছে। এ অবস্থায় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পশু আনা হলে দেশি ছোট-বড় খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনকি তারা হতাশ হয়ে পশু পালন বন্ধ করে দিতে পারেন। আবার অনেকেই বেকার হয়ে পড়তে পারেন। তাই দেশীয় খামারিদের উৎসাহ দেয়ার জন্য সীমান্ত পথে কঠোর নজরদারি করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আজিজুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, কোরবানির ঈদে দেশে গবাদি পশুর চাহিদা ৯৪ লাখ। আরও ৫ লাখ বাড়িয়ে ৯৯ লাখ টার্গেট ধরা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, সারাদেশে গবাদি পশুর খামারগুলোতে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার সংখ্যা এক কোটি ১৯ লাখ। এছাড়া ৪ হাজার দুম্বা ও উট রয়েছে। কোরবানির যোগ্য এসব পশু দিয়ে দেশবাসী কোরবানি দিতে পারবেন। এতে কোন অসুবিধা হবে না বলে দাবি করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, কোরবানি দেয়ার পর অবিক্রীত অবস্থায় কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লাখ পশু থেকে যায়। গত তিন বছরে কোরবানির পশুর কোন অভাব দেশে হয়নি। বরং গত বছর ১০ লাখ পশু অবিক্রীত রয়ে গেছে। আর ২০১৯ সালে ৫ লাখ পশু অবিক্রীত ছিল। সূত্র মতে, যে বছর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর নির্বাচনের আগে এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক নেতারা কোরবানি দিয়ে অনেকেই মাংস বিলি করার জন্য অতিরিক্ত পশুর দরকার হয়। এ বছর ওই ধরনের তৎপরতা নেই। এছাড়া এখন দেশজুড়ে করোনা মহামারী চলছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, খামারিরা বেশি দামের জন্য আগে পশুকে ওষুধ খাইয়ে মোটা তাজা করত। ওই ওষুধকে পাম্প বড়ি বলা হত। এখন তা বন্ধ। মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। এখন খামারিরা এ অনিয়ম করছে না। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই গোপনে ঈদের আগে পশুর হাটে নেয়ার সময় মোটা তাজা করছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, গত বধুবার বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে গবাদি পশুতে দেশ স্বাবলম্বী। তাই সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে দেশে পশু ঢুকতে না পারে তার জন্য এ বছর আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি জানিয়েছেন।