জান্তাপ্রধানের রাশিয়া সফর

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নিতে রাশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন মায়ানমার জান্তাপ্রধান। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আজ থেকে ৩ দিনের ওই নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। সম্মেলেন হ্লাইং নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সফরের অংশ হিসেবে ২২ থেকে ২৪ জুন রাশিয়ায় অবস্থান করবেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী করার পর এটি তার দ্বিতীয় প্রকাশ্য বিদেশ সফর। এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলেন তিনি।

মায়ানমারে অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরল এক আহ্বান জানানোর ২ দিনের মাথায় হ্লাইং রাশিয়া সফরে গেলেন। সামরিক জান্তাকে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

এর আগে গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মায়ানমারকে নিয়ে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে নিজ দেশের ওপর জান্তার সহিংসতা ও প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের নিন্দা জানানো, তা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে সমরাস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

সাধারণ পরিষদে মায়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্কোরানের বার্গেনার বলেছেন, ‘বড় ধরনের কোনো গৃহযুদ্ধের শঙ্কা সেখানে বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও কমে আসছে।’

এ প্রস্তাবের পক্ষে সাধারণ পরিষদের ১১৯টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে শুধু বেলারুশ। অপর যে ৩৬টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, তার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন। এই দুইটি দেশ মায়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে ৭৫ বছর বয়সী সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন। তার সম্পর্কে এরপর খুব কম জানা গেছে। এর মধ্যে শুধু তাকে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এই অভ্যুত্থান করেছে।

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪২

জান্তাপ্রধানের রাশিয়া সফর

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নিতে রাশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন মায়ানমার জান্তাপ্রধান। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আজ থেকে ৩ দিনের ওই নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। সম্মেলেন হ্লাইং নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। সফরের অংশ হিসেবে ২২ থেকে ২৪ জুন রাশিয়ায় অবস্থান করবেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী করার পর এটি তার দ্বিতীয় প্রকাশ্য বিদেশ সফর। এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলেন তিনি।

মায়ানমারে অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরল এক আহ্বান জানানোর ২ দিনের মাথায় হ্লাইং রাশিয়া সফরে গেলেন। সামরিক জান্তাকে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

এর আগে গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মায়ানমারকে নিয়ে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে নিজ দেশের ওপর জান্তার সহিংসতা ও প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের নিন্দা জানানো, তা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে সমরাস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

সাধারণ পরিষদে মায়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্কোরানের বার্গেনার বলেছেন, ‘বড় ধরনের কোনো গৃহযুদ্ধের শঙ্কা সেখানে বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও কমে আসছে।’

এ প্রস্তাবের পক্ষে সাধারণ পরিষদের ১১৯টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে শুধু বেলারুশ। অপর যে ৩৬টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, তার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন। এই দুইটি দেশ মায়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে ৭৫ বছর বয়সী সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন। তার সম্পর্কে এরপর খুব কম জানা গেছে। এর মধ্যে শুধু তাকে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এই অভ্যুত্থান করেছে।