আরও ছয় পণ্যের জিআই স্বীকৃতি এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক

নতুন করে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের ছয়টি পণ্য। সেগুলো হচ্ছে- ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা। এ নিয়ে দেশের মোট ৯টি পণ্য পেল জিআই স্বীকৃতি। প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে জামদানি, ২০১৭ সালে ইলিশ এবং ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম স্বীকৃতি পেয়েছে। কোন দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি যদি কোন একটি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্ব দরবারে দেশি পণ্যের এমন স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনাকে আমরা স্বাগত জানাই।

জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় এখন থেকে এই পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে। এসব পণ্যের বিশ্বব্যাপী ব্রান্ডিং করা সহজ হবে, আলাদা কদর থাকবে। বাণিজ্যিকভাবে এসব পণ্য উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়লে রপ্তানি বেড়ে যাবে এবং দাম বাড়বে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৯৫টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। জিআই পণ্য হিসেবে নির্বাচনে সেগুলো আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) শর্ত পূরণ করে কিনা তা যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়। এতগুলো পণ্যের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি পণ্যের জিইআই স্বীকৃতি মিলেছে। প্রতিবেশী ভারতের জিআই স্বীকৃত পণ্য ৩৭০টি। সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্জন সামান্য। আমরা আশা করব, উল্লিখিত তালিকা অনুযায়ী জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে। অতীতে গড়িমসি করে কাজ করায় নকশিকাঁথার মতো পণ্যের পেটেন্ট হাতছাড়া হয়েছে এমন ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪২

আরও ছয় পণ্যের জিআই স্বীকৃতি এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক

নতুন করে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের ছয়টি পণ্য। সেগুলো হচ্ছে- ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা। এ নিয়ে দেশের মোট ৯টি পণ্য পেল জিআই স্বীকৃতি। প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে জামদানি, ২০১৭ সালে ইলিশ এবং ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম স্বীকৃতি পেয়েছে। কোন দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি যদি কোন একটি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্ব দরবারে দেশি পণ্যের এমন স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনাকে আমরা স্বাগত জানাই।

জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় এখন থেকে এই পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে। এসব পণ্যের বিশ্বব্যাপী ব্রান্ডিং করা সহজ হবে, আলাদা কদর থাকবে। বাণিজ্যিকভাবে এসব পণ্য উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়লে রপ্তানি বেড়ে যাবে এবং দাম বাড়বে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৯৫টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। জিআই পণ্য হিসেবে নির্বাচনে সেগুলো আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) শর্ত পূরণ করে কিনা তা যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়। এতগুলো পণ্যের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি পণ্যের জিইআই স্বীকৃতি মিলেছে। প্রতিবেশী ভারতের জিআই স্বীকৃত পণ্য ৩৭০টি। সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্জন সামান্য। আমরা আশা করব, উল্লিখিত তালিকা অনুযায়ী জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে। অতীতে গড়িমসি করে কাজ করায় নকশিকাঁথার মতো পণ্যের পেটেন্ট হাতছাড়া হয়েছে এমন ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।