করোনা মোকাবিলায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা সহায়তা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের

দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানে, জীবিকা নির্ধারণ পুনরায় স্বাভাবিক করতে এবং দীর্ঘ মেয়াদী অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ১৩.৫ কোটি টাকার (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর গৃহীত ২০২১-এর নতুন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রথমসারীর যোদ্ধাদের জন্য মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ, সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা, কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা এবং কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি, জীবনযাত্রা পুনরায় স্বাভাবিকরণ, চাকরির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্ধারণ পুনরায় স্বাভাবিকরণ (যেমন, পুনদক্ষকরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ), নতুন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, শিক্ষা সহযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদি অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণ ইত্যাদি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনার ধাক্কা সামাল দিতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হলেও আরও একটি ঢেউয়ের আশঙ্কা মাথা চারা দিয়ে উঠছে, যার ফলে আমাদের যথাসাধ্য সতর্ক থাকতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য প্রয়োজন। এজন্যই গত বছরের মতো এবারও আমরা জনসাধারণের জন্য একটি বিস্তৃত, বহুমাত্রিক কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ঘোষণা করছি। ২০২০-এ আমাদের গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতায় নতুন পরিকল্পনাগুলো সাঁজানো হয়েছে তবে আরও বৃহৎ পরিসরে, যা সমগ্র পরিস্থিতির ওপর বাড়তি প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি। প্রতিক্রিয়া প্যাকেজটি তুলনামূলক বড় হলেও, সার্বিক পরিস্থিতির পর্যালোচনায় আরও সাহায্য প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, আমাদের এই পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর সফলতাগুলো কাজে লাগিয়ে সবাই করোনা যুদ্ধে এগিয়ে চলবেন- আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দ্বারাই সম্ভব কোভিড সংক্রমণ ও তার প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-এর হেড বিটপী দাস চৌধুরী বলেন, ‘এই মহামারী আমাদের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে পুনর্গঠন করেছে যার প্রভাব আমাদের মধ্যে স্থায়ী হয়ে থাকবে। করোনা আক্রান্ত মানুষদের তাৎক্ষণিক চাহিদাপূরণের পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নতুন উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ দক্ষতা বিকাশের উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি। দেশের জনগণ এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যে বেসরকারী খাত, উন্নয়নমূলক সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আগের তুলনায় আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

মহামারী চলাকালীন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যস্থির করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রগতির ধারা চলমান রাখার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২০২০ সালে ২৫টি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ২০২০ সালে সিএসআর খাতে সর্বোচ্চ ব্যয়কারী আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২

করোনা মোকাবিলায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা সহায়তা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানে, জীবিকা নির্ধারণ পুনরায় স্বাভাবিক করতে এবং দীর্ঘ মেয়াদী অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ১৩.৫ কোটি টাকার (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর গৃহীত ২০২১-এর নতুন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রথমসারীর যোদ্ধাদের জন্য মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ, সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা, কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা এবং কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি, জীবনযাত্রা পুনরায় স্বাভাবিকরণ, চাকরির সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্ধারণ পুনরায় স্বাভাবিকরণ (যেমন, পুনদক্ষকরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ), নতুন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, শিক্ষা সহযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদি অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণ ইত্যাদি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনার ধাক্কা সামাল দিতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হলেও আরও একটি ঢেউয়ের আশঙ্কা মাথা চারা দিয়ে উঠছে, যার ফলে আমাদের যথাসাধ্য সতর্ক থাকতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য প্রয়োজন। এজন্যই গত বছরের মতো এবারও আমরা জনসাধারণের জন্য একটি বিস্তৃত, বহুমাত্রিক কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ঘোষণা করছি। ২০২০-এ আমাদের গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতায় নতুন পরিকল্পনাগুলো সাঁজানো হয়েছে তবে আরও বৃহৎ পরিসরে, যা সমগ্র পরিস্থিতির ওপর বাড়তি প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি। প্রতিক্রিয়া প্যাকেজটি তুলনামূলক বড় হলেও, সার্বিক পরিস্থিতির পর্যালোচনায় আরও সাহায্য প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, আমাদের এই পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর সফলতাগুলো কাজে লাগিয়ে সবাই করোনা যুদ্ধে এগিয়ে চলবেন- আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দ্বারাই সম্ভব কোভিড সংক্রমণ ও তার প্রাদুর্ভাব প্রতিহত করা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-এর হেড বিটপী দাস চৌধুরী বলেন, ‘এই মহামারী আমাদের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে পুনর্গঠন করেছে যার প্রভাব আমাদের মধ্যে স্থায়ী হয়ে থাকবে। করোনা আক্রান্ত মানুষদের তাৎক্ষণিক চাহিদাপূরণের পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নতুন উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ দক্ষতা বিকাশের উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি। দেশের জনগণ এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যে বেসরকারী খাত, উন্নয়নমূলক সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আগের তুলনায় আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

মহামারী চলাকালীন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যস্থির করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রগতির ধারা চলমান রাখার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২০২০ সালে ২৫টি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ২০২০ সালে সিএসআর খাতে সর্বোচ্চ ব্যয়কারী আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।