পার্শ্ববর্তী সাত জেলা ‘লকডাউন’র প্রথম দিনেই ঢাকায় শনাক্ত বেড়েছে দুই শতাধিক। ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধের আওতায় সাত জেলায়ও শনাক্ত বেড়েছে। তবে সাত জেলা থেকে ঢাকায় শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ছয় গুণ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে ঢাকা (মহানগরসহ) জেলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই বিভাগের সাত জেলায় প্রায় দুইশ’ মানুষের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
রাজধানী ঢাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে চারপাশের সাত জেলায় ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই ‘লকডাউন’ চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ‘লকডাউন’ভুক্ত জেলাগুলো হলো নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে সংক্রমণ বেশি ঢাকায়। এর চারপাশের জেলাগুলো থেকেও ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। অথচ এখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কার্যকর তৎপরতাও নেই প্রশাসনের। এ কারণে শুধুমাত্র চারদিকের এলাকা ‘লকডাউন’ দিয়ে ঢাকার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে না।
৭ জেলায় সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশের বেশি
‘লকডাউন’ শুরু হওয়া সাত জেলায় গত একদিনে এক হাজার ১৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৭ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন সাত জেলায় ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে ২৯ জন, মুন্সীগঞ্জে চারজন, গাজীপুরে ৫৬ জন, মাদারীপুরে ৩৩ জন, রাজবাড়ীতে ২১ জন ও গোপালগঞ্জে ৪৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিনই
মহানগরসহ ঢাকা জেলায় গত একদিনে ১১ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৪৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে ঢাকায় সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আগের দিন ঢাকায় ১১ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৯৪ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আর ২০ জুন ঢাকায় ৯ হাজার ৬২৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৮২২ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওইদিন সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত কোভিড-১৯বিষয়ক ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’র সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে বলেছেন, ‘সাত জেলা থেকে ঢাকায় যদি রোগী বেশি শনাক্ত হয়, সেক্ষেত্রে এখানেও (রাজধানী) নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ থাকতে হবে। অন্যতায় শুধু সাত জেলায় ‘লকডাউন’ দিয়ে রাজধানীর সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল হবে। কারণ এখানে কেউই মাস্ক পরছে না, ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না, ঢাকায় সবকিছুই এখন উন্মুক্ত। এই অবস্থা চলতে থাকলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।’
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেশি খুলনা বিভাগে
গত একদিনে দেশে করোনা সংক্রমণে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৭০২ জনে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে খুলনা বিভাগের ২৭ জন, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ১৪ জন করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে তিনজন ও রংপুর বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ৩৪ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৮১০ জন এবং মহিলা তিন হাজার ৮৯২ জন।
সংক্রমণের হারে শীর্ষে খুলনা বিভাগ
খুলনার বিভাগের ১০ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯৮ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় একদিনে ১৩ হাজার ৭৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৯৬৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় একদিনে দুই হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তিন হাজার ৯১৩টি। এই সময়ে ৭৬৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় একদিনে ৭৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৮ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় গত একদিনে ৬৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বেড়েছে
গত একদিনে দেশে চার হাজার ৮৪৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জনে।
৫২৮টি পরীক্ষাগারে গত একদিনে ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৯টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯০৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
পার্শ্ববর্তী সাত জেলা ‘লকডাউন’র প্রথম দিনেই ঢাকায় শনাক্ত বেড়েছে দুই শতাধিক। ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধের আওতায় সাত জেলায়ও শনাক্ত বেড়েছে। তবে সাত জেলা থেকে ঢাকায় শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ছয় গুণ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে ঢাকা (মহানগরসহ) জেলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই বিভাগের সাত জেলায় প্রায় দুইশ’ মানুষের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
রাজধানী ঢাকায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে চারপাশের সাত জেলায় ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই ‘লকডাউন’ চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ‘লকডাউন’ভুক্ত জেলাগুলো হলো নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে সংক্রমণ বেশি ঢাকায়। এর চারপাশের জেলাগুলো থেকেও ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। অথচ এখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কার্যকর তৎপরতাও নেই প্রশাসনের। এ কারণে শুধুমাত্র চারদিকের এলাকা ‘লকডাউন’ দিয়ে ঢাকার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে না।
৭ জেলায় সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশের বেশি
‘লকডাউন’ শুরু হওয়া সাত জেলায় গত একদিনে এক হাজার ১৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৭ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন সাত জেলায় ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জে ২৯ জন, মুন্সীগঞ্জে চারজন, গাজীপুরে ৫৬ জন, মাদারীপুরে ৩৩ জন, রাজবাড়ীতে ২১ জন ও গোপালগঞ্জে ৪৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিনই
মহানগরসহ ঢাকা জেলায় গত একদিনে ১১ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৪৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে ঢাকায় সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আগের দিন ঢাকায় ১১ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৯৪ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আর ২০ জুন ঢাকায় ৯ হাজার ৬২৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৮২২ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওইদিন সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত কোভিড-১৯বিষয়ক ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’র সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে বলেছেন, ‘সাত জেলা থেকে ঢাকায় যদি রোগী বেশি শনাক্ত হয়, সেক্ষেত্রে এখানেও (রাজধানী) নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ থাকতে হবে। অন্যতায় শুধু সাত জেলায় ‘লকডাউন’ দিয়ে রাজধানীর সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল হবে। কারণ এখানে কেউই মাস্ক পরছে না, ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না, ঢাকায় সবকিছুই এখন উন্মুক্ত। এই অবস্থা চলতে থাকলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।’
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেশি খুলনা বিভাগে
গত একদিনে দেশে করোনা সংক্রমণে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৭০২ জনে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে খুলনা বিভাগের ২৭ জন, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ১৪ জন করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে তিনজন ও রংপুর বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ৩৪ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৮১০ জন এবং মহিলা তিন হাজার ৮৯২ জন।
সংক্রমণের হারে শীর্ষে খুলনা বিভাগ
খুলনার বিভাগের ১০ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯৮ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় একদিনে ১৩ হাজার ৭৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৯৬৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় একদিনে দুই হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তিন হাজার ৯১৩টি। এই সময়ে ৭৬৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় একদিনে ৭৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৮ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় গত একদিনে ৬৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বেড়েছে
গত একদিনে দেশে চার হাজার ৮৪৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জনে।
৫২৮টি পরীক্ষাগারে গত একদিনে ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৯টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯০৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।