শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কবে পাব বলতে পারছি না

টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, টিকা নিয়ে সুখবর পাব কিন্তু কবে পাব সেটি এখন বলতে পারছি না। পৃথিবীর ধনী সাতটি দেশ অর্থাৎ জি-৭ ১০০ কোটি টিকা দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। খালি শুনছি দেবে কিন্তু দেয়ার কথা কেউ বলছে না, শুধু আশ্বাস দিচ্ছে।

সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গায়ক, ব্যবসায়ী সবাই এখন টিকার ব্যবসায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘একটা মজার কাহিনী বলি। আমেরিকার অনেক ব্যক্তিবিশেষ আমাদের জানিয়েছেন যে, অমুক লোক অনেক টিকা দিতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমেরিকার লোক আমাদের জানিয়েছে, তারা রাশিয়ান টিকার ডিলারশিপ পেয়েছে কিন্তু রাশিয়া সরকার আমাদের জানিয়েছে তাদের কোন ডিলারই নাই।’

তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলো টিকা নিয়ে বসে রয়েছে। তাদের যত জনসংখ্যা, তার থেকে তাদের কাছে টিকা বেশি রয়েছে।’ সবাই আমাদের কাছে বিক্রি করার জন্য আসছে।

টিকা এখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, অনেকে বলে যে দেব কিন্তু কেউ দেয় না। আবার দেয়ার সময় জিজ্ঞাসা করে যে অমুক জিনিসে আমাকে সমর্থন দেবেন কিনা। এখন দেখা যাচ্ছে এটিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঝে পড়ে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘একটি ছোট ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গেছে।’ পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে কোন দ্বন্দ্ব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঝে পড়ে গেছি।’

বিতর্কের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্য একটি রেললাইন স্থাপনের জন্য রেলমন্ত্রীকে ডিও লেটার দিতে আমাকে অনুরোধ করেন।’ সেখানকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও দ্বন্দ্ব সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানা ছিল না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমার উচিত ছিল মান্নানকে জিজ্ঞাসা করা কিন্তু আমি সরল মনে ডিও লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিওটা হচ্ছে মূল বিতর্কের কারণ।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মান্নান বলেছেন, উনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আমার পাশে বসেন, আমাকে বলতে পারতেন যে, আমার কাছে সংসদ সদস্যরা এসেছেন এবং আমি একটি ডিও পাঠাচ্ছি। এখন কী করবেন জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব এবং আমি ওর সঙ্গে কথা বলব।’ দিল্লি টিকা দিচ্ছে না বলে বাংলাদেশ ইলিশ পাঠাচ্ছে না- ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা এত নিচু মানসিকতার নই। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২

টিকা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কবে পাব বলতে পারছি না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, টিকা নিয়ে সুখবর পাব কিন্তু কবে পাব সেটি এখন বলতে পারছি না। পৃথিবীর ধনী সাতটি দেশ অর্থাৎ জি-৭ ১০০ কোটি টিকা দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। খালি শুনছি দেবে কিন্তু দেয়ার কথা কেউ বলছে না, শুধু আশ্বাস দিচ্ছে।

সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গায়ক, ব্যবসায়ী সবাই এখন টিকার ব্যবসায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘একটা মজার কাহিনী বলি। আমেরিকার অনেক ব্যক্তিবিশেষ আমাদের জানিয়েছেন যে, অমুক লোক অনেক টিকা দিতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমেরিকার লোক আমাদের জানিয়েছে, তারা রাশিয়ান টিকার ডিলারশিপ পেয়েছে কিন্তু রাশিয়া সরকার আমাদের জানিয়েছে তাদের কোন ডিলারই নাই।’

তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলো টিকা নিয়ে বসে রয়েছে। তাদের যত জনসংখ্যা, তার থেকে তাদের কাছে টিকা বেশি রয়েছে।’ সবাই আমাদের কাছে বিক্রি করার জন্য আসছে।

টিকা এখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, অনেকে বলে যে দেব কিন্তু কেউ দেয় না। আবার দেয়ার সময় জিজ্ঞাসা করে যে অমুক জিনিসে আমাকে সমর্থন দেবেন কিনা। এখন দেখা যাচ্ছে এটিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঝে পড়ে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘একটি ছোট ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গেছে।’ পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে কোন দ্বন্দ্ব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঝে পড়ে গেছি।’

বিতর্কের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্য একটি রেললাইন স্থাপনের জন্য রেলমন্ত্রীকে ডিও লেটার দিতে আমাকে অনুরোধ করেন।’ সেখানকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও দ্বন্দ্ব সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানা ছিল না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমার উচিত ছিল মান্নানকে জিজ্ঞাসা করা কিন্তু আমি সরল মনে ডিও লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিওটা হচ্ছে মূল বিতর্কের কারণ।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মান্নান বলেছেন, উনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আমার পাশে বসেন, আমাকে বলতে পারতেন যে, আমার কাছে সংসদ সদস্যরা এসেছেন এবং আমি একটি ডিও পাঠাচ্ছি। এখন কী করবেন জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব এবং আমি ওর সঙ্গে কথা বলব।’ দিল্লি টিকা দিচ্ছে না বলে বাংলাদেশ ইলিশ পাঠাচ্ছে না- ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা এত নিচু মানসিকতার নই। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।