সিলেটের শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নি¤œ আদালতের দেয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আপিল খারিজ করে গতকাল বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা। মামলায় আদালতে আসামি পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সিদ্দিকুর রহমন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ মার্চ সিলেট নগরের শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরের ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম।
নিহত আবু সাঈদ সিলেট নগরের রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়া বাজারের খশিলা এলাকায়।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রশিদ। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরা আপিল করেন। পরে রায়ের জন্য আজকের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়।
বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২
আদালত বার্তা পরিবেশক
সিলেটের শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নি¤œ আদালতের দেয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আপিল খারিজ করে গতকাল বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা। মামলায় আদালতে আসামি পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সিদ্দিকুর রহমন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ মার্চ সিলেট নগরের শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরের ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম।
নিহত আবু সাঈদ সিলেট নগরের রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়া বাজারের খশিলা এলাকায়।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রশিদ। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরা আপিল করেন। পরে রায়ের জন্য আজকের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়।