তিন চক্র সক্রিয়, ঈদে আরও ছাড়বে
ঈদকে সামনে রেখে আবারও জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনা করছে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে জাল নোট বিক্রি করবে। প্রতি লাখ জাল টাকা ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।
এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাইমুল হাসান তৌফিক নামে এক জাল নোট ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-১০ এর দেয়া তথ্যমতে, গত সোমবার গভীররাতে র্যাব-১০ এর একটি দল মেরুল বাড্ডা জয়নব উদ্দিন লেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল নোট উদ্ধার করে। আর ঘটনাস্থল থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৮২০ টাকা উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃত টাকার মধ্যে নকল এক হাজার টাকার নোট, ৫শ’ টাকার নোট, একশ’ টাকার নোট ও ৫০ টাকার নোট রয়েছে। এসব টাকা স্বাভাবিকভাবে বুঝার উপায় নেই। নকলবাজরা পেশাদার হওয়ায় তারা নিখুঁতভাবে জাল টাকা তৈরি করছে।
র্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তৌফিক সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের সদস্য। গেল দুই থেকে তিন বছর ধরে এ চক্র জাল নোট তৈরি করছে। আসছে কোরবানির ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন পশুর হাটসহ অন্যান্য বাজারে সরবরাহ করার টার্গেট নিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ সংঘবদ্ধ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল রাতে সংবাদকে জানান, ঈদের সময় কোটি টাকার জাল নোট ছাড়ার জন্য নোট তৈরি করছিল। চক্রে বড় ধরনের তিনটি গ্রুপ জড়িত। তারা গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছেড়েছিল। চক্রের পলাতক সদস্যদের ধরতে র্যাবের কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ থেকে জাল নোট উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও র্যাবের একাধিক টিম বিভিন্ন সময় জাল নোট তৈরি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে। এরপরও নতুন নতুন চক্র পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট তৈরি করে বাজার প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডিসি মশিউর রহমান গতকাল রাতে সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, জাল নোট তৈরিকারী ঈদের আগে ও ঈদের সময় শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যখন মানুষ ঈদমুখী কেনাকাটা করে তখন জাল নোট বিক্রি করে। এ চক্রের একাধিক গ্রুপ প্রতি বছর এ সময় জাল টাকা তৈরি ও বিক্রি করে।
অপর এক সূত্র জানায়, র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার পর তারা আবার জামিনে ছাড়া পেয়ে জাল টাকা তৈরি করে। তাদের জামিন করার জন্য একটি চক্র রয়েছে।
জামিন হওয়ার পর তারা টাকা পরিশোধ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ চক্রের গডফাদারও রয়েছে। এদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে। সেখানে নানা পেশার লোক জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২
তিন চক্র সক্রিয়, ঈদে আরও ছাড়বে
বাকী বিল্লাহ
ঈদকে সামনে রেখে আবারও জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনা করছে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে জাল নোট বিক্রি করবে। প্রতি লাখ জাল টাকা ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।
এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাইমুল হাসান তৌফিক নামে এক জাল নোট ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-১০ এর দেয়া তথ্যমতে, গত সোমবার গভীররাতে র্যাব-১০ এর একটি দল মেরুল বাড্ডা জয়নব উদ্দিন লেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল নোট উদ্ধার করে। আর ঘটনাস্থল থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৮২০ টাকা উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃত টাকার মধ্যে নকল এক হাজার টাকার নোট, ৫শ’ টাকার নোট, একশ’ টাকার নোট ও ৫০ টাকার নোট রয়েছে। এসব টাকা স্বাভাবিকভাবে বুঝার উপায় নেই। নকলবাজরা পেশাদার হওয়ায় তারা নিখুঁতভাবে জাল টাকা তৈরি করছে।
র্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তৌফিক সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের সদস্য। গেল দুই থেকে তিন বছর ধরে এ চক্র জাল নোট তৈরি করছে। আসছে কোরবানির ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন পশুর হাটসহ অন্যান্য বাজারে সরবরাহ করার টার্গেট নিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ সংঘবদ্ধ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল রাতে সংবাদকে জানান, ঈদের সময় কোটি টাকার জাল নোট ছাড়ার জন্য নোট তৈরি করছিল। চক্রে বড় ধরনের তিনটি গ্রুপ জড়িত। তারা গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছেড়েছিল। চক্রের পলাতক সদস্যদের ধরতে র্যাবের কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, এর আগে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ থেকে জাল নোট উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও র্যাবের একাধিক টিম বিভিন্ন সময় জাল নোট তৈরি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে। এরপরও নতুন নতুন চক্র পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট তৈরি করে বাজার প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ডিসি মশিউর রহমান গতকাল রাতে সংবাদকে মুঠোফোনে বলেন, জাল নোট তৈরিকারী ঈদের আগে ও ঈদের সময় শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত যখন মানুষ ঈদমুখী কেনাকাটা করে তখন জাল নোট বিক্রি করে। এ চক্রের একাধিক গ্রুপ প্রতি বছর এ সময় জাল টাকা তৈরি ও বিক্রি করে।
অপর এক সূত্র জানায়, র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার পর তারা আবার জামিনে ছাড়া পেয়ে জাল টাকা তৈরি করে। তাদের জামিন করার জন্য একটি চক্র রয়েছে।
জামিন হওয়ার পর তারা টাকা পরিশোধ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ চক্রের গডফাদারও রয়েছে। এদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে। সেখানে নানা পেশার লোক জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।