বুলিং ও সহপাঠী

বুলিং কী জিনিস আমরা অনেকেই জানি না কিংবা জানলেও না জানার ভান করি। আমাদের পরিবার তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথাও এ সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দেয়নি। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে বুলিংকে যেভাবে ঘোরতর-সিরিয়াস বিষয় হিসেবে নেয়া হয় আমাদের প্রাচ্যের দেশগুলোতে সম্পূর্ণ তার উল্টো।

আমরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায়শই দেখতে পাইÑ তার সহপাঠীরা তাকে মোটা বলছে, কালো বলছে, দাঁত বাঁকা, চোখে সমস্যা, হাতে সমস্যা নানান ধরনের কথা বলে ভেংচি কাটছে, তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখছে। সহপাঠীরা সবসময় তাকে ছোট করে দেখে। ওই শিশুটি স্কুল থেকে মানসিকভাবে চাপে থাকে।

এ ছোট বয়সে বুলিংয়ের কারণে তার পুরো জীবন অসহায়গ্রস্ত দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদি নিয়ে বেড়ে ওঠে। শুধু যে বাচ্চারা বুলিংয়ের শিকার হয় তা নয় বড়রাও হয়ে থাকে অফিস-আদালতে কিংবা চায়ের দোকানে ব্যক্তি থেকে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

যারা বুলিংয়ের শিকার শুধু তারাই যে মানসিক চাপে থাকে ব্যক্তি জীবনের সমস্যা ভোগ করে তা নয়, যারা বুলি করে তারাও ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পতিত হয়।

বুলিংকারী সবসময় নিজেকে বড় মনে করে। নিজের দোষগুলোকে সঠিক মনে করে। এই নিজেকে বড় ভাবার কারণে নিজের মনের কথা কাউকে শেয়ার করতে পারে না। এতে করে সে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এক সময় আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে। আসুন বুলিংকে শক্ত হাতে প্রতিহত করি। বুলিংকে না বলি, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখি।

তাসনিম হাসান মজুমদার

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২

বুলিং ও সহপাঠী

বুলিং কী জিনিস আমরা অনেকেই জানি না কিংবা জানলেও না জানার ভান করি। আমাদের পরিবার তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথাও এ সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দেয়নি। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে বুলিংকে যেভাবে ঘোরতর-সিরিয়াস বিষয় হিসেবে নেয়া হয় আমাদের প্রাচ্যের দেশগুলোতে সম্পূর্ণ তার উল্টো।

আমরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায়শই দেখতে পাইÑ তার সহপাঠীরা তাকে মোটা বলছে, কালো বলছে, দাঁত বাঁকা, চোখে সমস্যা, হাতে সমস্যা নানান ধরনের কথা বলে ভেংচি কাটছে, তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখছে। সহপাঠীরা সবসময় তাকে ছোট করে দেখে। ওই শিশুটি স্কুল থেকে মানসিকভাবে চাপে থাকে।

এ ছোট বয়সে বুলিংয়ের কারণে তার পুরো জীবন অসহায়গ্রস্ত দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদি নিয়ে বেড়ে ওঠে। শুধু যে বাচ্চারা বুলিংয়ের শিকার হয় তা নয় বড়রাও হয়ে থাকে অফিস-আদালতে কিংবা চায়ের দোকানে ব্যক্তি থেকে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

যারা বুলিংয়ের শিকার শুধু তারাই যে মানসিক চাপে থাকে ব্যক্তি জীবনের সমস্যা ভোগ করে তা নয়, যারা বুলি করে তারাও ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পতিত হয়।

বুলিংকারী সবসময় নিজেকে বড় মনে করে। নিজের দোষগুলোকে সঠিক মনে করে। এই নিজেকে বড় ভাবার কারণে নিজের মনের কথা কাউকে শেয়ার করতে পারে না। এতে করে সে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এক সময় আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে। আসুন বুলিংকে শক্ত হাতে প্রতিহত করি। বুলিংকে না বলি, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখি।

তাসনিম হাসান মজুমদার