শতবর্ষী বটবৃক্ষ রক্ষায় মানবঢাল

রাজশাহীর পবা উপজেলা দামকুড়া থানার সামনে মধুপুর বটতলা এলাকায় শতবর্ষী পাইকর গাছ কাটা রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়েছে। গাছটি রাজশাহী জেলা পরিষদের হওয়ায় জেলা পরিষদ এটা টেন্ডার দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই গাছ রক্ষায় পবা উপজেলা শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান হয়েছে।

আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, গাছটি বয়স একশ বছরের অধিক হয়েছে। এই গাছের নিচে শত শত মানুষ বিশ্রাম করে। শান্তির নিশ্বাস নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার পাখি এই গাছে বসবাস করে। এই গাছটি কেটে ফেললে একদিকে যেমন জনগণের বিশ্রামের স্থান নষ্ট হবে। তেমনি পাখি হারাবে তাদের নিবাস। এলাকাবাসী এই গাছ না কাটতে দেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে পবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইাসলাম জানান, এই গাছ তার বাবা দাদার আমল থেকে দেখে আসছেন। এখানে অনেক পথচারী গরমে এবং বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়। সেই সঙ্গে অনেক পাখি এই গাছে বসবাস করে। এছাড়াও এই গ্রাম ও মোড়ের পরিচিতি এই গাছ। কোনভাবেই এই গাছ কর্তন করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। একদিন কাটতে এসেছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এখানে কোন গন্ডোগোল হয়নি বলে জানান এই অফিসার ইনচার্জ।

ঠিকাদার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বকুল হোসেন বলেন, তিনি জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারে মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিয়াডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটে তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯টি গাছ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে নিয়েছেন। তিনি সব টাকা পরিশোধ করেছেন। করোনার কারণে তিনি গাছ কাটতে যাননি। এখন এই গাছ কাটতে যাওয়ার কথা শুনে এলাকবাসী বাধা দিচ্ছে। অথচ এই গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

শতবর্ষী বটবৃক্ষ রক্ষায় মানবঢাল

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

রাজশাহীর পবা উপজেলা দামকুড়া থানার সামনে মধুপুর বটতলা এলাকায় শতবর্ষী পাইকর গাছ কাটা রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়েছে। গাছটি রাজশাহী জেলা পরিষদের হওয়ায় জেলা পরিষদ এটা টেন্ডার দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই গাছ রক্ষায় পবা উপজেলা শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান হয়েছে।

আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, গাছটি বয়স একশ বছরের অধিক হয়েছে। এই গাছের নিচে শত শত মানুষ বিশ্রাম করে। শান্তির নিশ্বাস নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার পাখি এই গাছে বসবাস করে। এই গাছটি কেটে ফেললে একদিকে যেমন জনগণের বিশ্রামের স্থান নষ্ট হবে। তেমনি পাখি হারাবে তাদের নিবাস। এলাকাবাসী এই গাছ না কাটতে দেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে পবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইাসলাম জানান, এই গাছ তার বাবা দাদার আমল থেকে দেখে আসছেন। এখানে অনেক পথচারী গরমে এবং বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়। সেই সঙ্গে অনেক পাখি এই গাছে বসবাস করে। এছাড়াও এই গ্রাম ও মোড়ের পরিচিতি এই গাছ। কোনভাবেই এই গাছ কর্তন করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। একদিন কাটতে এসেছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এখানে কোন গন্ডোগোল হয়নি বলে জানান এই অফিসার ইনচার্জ।

ঠিকাদার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বকুল হোসেন বলেন, তিনি জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারে মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিয়াডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটে তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯টি গাছ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে নিয়েছেন। তিনি সব টাকা পরিশোধ করেছেন। করোনার কারণে তিনি গাছ কাটতে যাননি। এখন এই গাছ কাটতে যাওয়ার কথা শুনে এলাকবাসী বাধা দিচ্ছে। অথচ এই গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।