নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে

আত্মহত্যার বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকেই মানুষের মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনমন্যতা হলো এক ধরনের অনুভূতি যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় যে উনি অন্যদের তুলনায় কিছু ব্যাপারে নিচু বা নিকৃষ্ট। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের সব সময়ই নেতিবাচক মনোভাব, সামাজিক অসুবিধা ও বৈষম্য ইত্যাদি কারণে এই হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। একজন মানুষ যখন মনে করেন সমাজ থেকে উনি বিচ্ছিন্ন এবং এই ভেবে একাকীত্ব জীবনযাপন শুরু করেন তখন উনাকে হতাশা গ্রাস করে। আর এই হতাশা থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে মনে হয়। প্রথমত, আত্মপ্রেমিক হওয়া অর্থাৎ নিজেকে ভালোবাসা। দ্বিতীয়ত, কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যদের থেকে অধিক সক্ষম মনে করা অর্থাৎ কোন একটি বিশেষ কাজ আপনি অন্যদের থেকে অধিক সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এমনটি ভাবা। সর্বোপরি যতসম্ভব পারা যায় নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অন্তর্ভুক্ত রাখা। কারণ এমন কর্মকা-ের স্বীকৃতি ও প্রশংসা নিজেকে মূল্যবান করে তোলে।

হাফিজ ইসলাম

সহকারী প্রক্টর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে

আত্মহত্যার বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকেই মানুষের মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনমন্যতা হলো এক ধরনের অনুভূতি যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় যে উনি অন্যদের তুলনায় কিছু ব্যাপারে নিচু বা নিকৃষ্ট। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের সব সময়ই নেতিবাচক মনোভাব, সামাজিক অসুবিধা ও বৈষম্য ইত্যাদি কারণে এই হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। একজন মানুষ যখন মনে করেন সমাজ থেকে উনি বিচ্ছিন্ন এবং এই ভেবে একাকীত্ব জীবনযাপন শুরু করেন তখন উনাকে হতাশা গ্রাস করে। আর এই হতাশা থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে মনে হয়। প্রথমত, আত্মপ্রেমিক হওয়া অর্থাৎ নিজেকে ভালোবাসা। দ্বিতীয়ত, কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যদের থেকে অধিক সক্ষম মনে করা অর্থাৎ কোন একটি বিশেষ কাজ আপনি অন্যদের থেকে অধিক সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এমনটি ভাবা। সর্বোপরি যতসম্ভব পারা যায় নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অন্তর্ভুক্ত রাখা। কারণ এমন কর্মকা-ের স্বীকৃতি ও প্রশংসা নিজেকে মূল্যবান করে তোলে।

হাফিজ ইসলাম

সহকারী প্রক্টর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়