জঙ্গিবাদ রোধে করণীয়

জঙ্গিবাদ বর্তমান বিশ্বের একটি আতঙ্ক ও হুমকির নাম। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত আদর্শ ও বিশ্বাসের ওপর সহিংস অবস্থানের আভিধানিক নামই হচ্ছে জঙ্গিবাদ। নিজেদের বিশ্বাসে অনড় থেকে ভিন্নমতাবলম্বী সম্প্রদায়ের ওপর জোর করে তা চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা কিংবা পরমত-অসহিষ্ণুতা থেকে জঙ্গিবাদের উদ্ভব।

দারিদ্র্যের কশাঘাত, ধর্মীয় উন্মাদনার যুক্তিহীন উন্মেষ, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কুটিল অভিপ্রায়, সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ বিদ্রোহ-এ সমস্ত কারণগুলোকে জঙ্গিবাদ উত্থানের সূত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাছাড়া জ্ঞানহীন আবেগ চরমপন্থাও জঙ্গিবাদের জন্ম দেয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে জঙ্গিবাদ বলতে শুধু ধর্মীয় জঙ্গিবাদকেই বুঝে থাকেন। প্রকৃত অর্থে সব ধরনের সহিংস ও উগ্র ভাবাদর্শ ধারণকারী ব্যক্তি, সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী জঙ্গিবাদের আওতাভুক্ত। জঙ্গিবাদ দেশের সার্বভৌমত্ব, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই এটিকে রুখে না দিতে পারলে ভয়াবহ পরিস্থির মুখোমুখি হতে হয়।

এই ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে একটি মানবিক ও প্রশান্তির মতাদর্শ প্রচার করতে হবে। সেটি হচ্ছে পরমত সহিষ্ণুতা কিংবা অসাম্প্রদায়িকতা। নতুন প্রজন্মের মাঝে মাননুষ পরিচয় নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে। বিপরীত মত, বিপরীত ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে ধর্মীয় বক্তা ও মসজিদের ইমামদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা কিংবা খুতবায় জঙ্গিবাদের খারাপ দিক সম্পর্কে মানুষকে জানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ রোধে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

আ. রহমান দেওয়ান

শিক্ষার্থী, রামগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, লক্ষ্মীপুর

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

জঙ্গিবাদ রোধে করণীয়

জঙ্গিবাদ বর্তমান বিশ্বের একটি আতঙ্ক ও হুমকির নাম। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত আদর্শ ও বিশ্বাসের ওপর সহিংস অবস্থানের আভিধানিক নামই হচ্ছে জঙ্গিবাদ। নিজেদের বিশ্বাসে অনড় থেকে ভিন্নমতাবলম্বী সম্প্রদায়ের ওপর জোর করে তা চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা কিংবা পরমত-অসহিষ্ণুতা থেকে জঙ্গিবাদের উদ্ভব।

দারিদ্র্যের কশাঘাত, ধর্মীয় উন্মাদনার যুক্তিহীন উন্মেষ, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কুটিল অভিপ্রায়, সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ বিদ্রোহ-এ সমস্ত কারণগুলোকে জঙ্গিবাদ উত্থানের সূত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাছাড়া জ্ঞানহীন আবেগ চরমপন্থাও জঙ্গিবাদের জন্ম দেয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে জঙ্গিবাদ বলতে শুধু ধর্মীয় জঙ্গিবাদকেই বুঝে থাকেন। প্রকৃত অর্থে সব ধরনের সহিংস ও উগ্র ভাবাদর্শ ধারণকারী ব্যক্তি, সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী জঙ্গিবাদের আওতাভুক্ত। জঙ্গিবাদ দেশের সার্বভৌমত্ব, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই এটিকে রুখে না দিতে পারলে ভয়াবহ পরিস্থির মুখোমুখি হতে হয়।

এই ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে একটি মানবিক ও প্রশান্তির মতাদর্শ প্রচার করতে হবে। সেটি হচ্ছে পরমত সহিষ্ণুতা কিংবা অসাম্প্রদায়িকতা। নতুন প্রজন্মের মাঝে মাননুষ পরিচয় নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে। বিপরীত মত, বিপরীত ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে ধর্মীয় বক্তা ও মসজিদের ইমামদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা কিংবা খুতবায় জঙ্গিবাদের খারাপ দিক সম্পর্কে মানুষকে জানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ রোধে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

আ. রহমান দেওয়ান

শিক্ষার্থী, রামগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, লক্ষ্মীপুর