রাজিবপুরে সর্দি জ্বরের প্রকোপ : ডাক্তার সংকট

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর সীমান্ত জুড়ে জ্বর-সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথাসহ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা গেলেও কেউ করোনা টেস্ট করতে আগ্রহী নন। এদিকে হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় মাত্র ২ জন ডাক্তার হিমশিম খাচ্ছে রোগী দেখে। হাসপাতালে আসা রোগী ও আত্মীয়-স্বজনদের থেকে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলোর প্রত্যেক বাড়িতে ৩-৪ জন করে রোগী রয়েছে। অনেক বাড়িতে পর্যায়ক্রমে পরিবারের সকল সদস্যই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। কেউ পল্লী চিকিৎসক, কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক অথবা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গত বুধবার রাজিবপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, আউট ডোর-ইনডোর মিলে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী হাজির হয়েছিল। মেডিকেল অফিসার শাফিউল ইসলাম সজিব জানান, তিনি গত বুধবার ৭০টি রোগী দেখেছেন। এরমধ্যে ৪৫ জনই জ্বর, সর্দি ও কাশি রয়েছে। তার বিশ্বাস টেস্ট করলেই তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হবে।

রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাক্তার সারওয়ার জাহান জানান, মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে কি প্রতিদিন এত রোগী দেখা সম্ভব। তাছাড়া কোন রোগীই মুখে মাস্ক পড়তে চায়না। করোন টেস্ট তো দূরের কথা। গত ২ দিনে ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী করোনা টেস্ট করেছেন। এরমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর করোনা পজিটিভ হয়েছে। সে বর্তমানে রাজিবপুর স্টাফ কোয়ার্টারে কোয়ারেন্টেইনে রয়েছে। উক্ত হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার যোগদান না করালে রাজিবপুরবাসী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ , ১১ আষাঢ় ১৪২৮ ১৩ জিলকদ ১৪৪২

রাজিবপুরে সর্দি জ্বরের প্রকোপ : ডাক্তার সংকট

প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর সীমান্ত জুড়ে জ্বর-সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথাসহ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা গেলেও কেউ করোনা টেস্ট করতে আগ্রহী নন। এদিকে হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় মাত্র ২ জন ডাক্তার হিমশিম খাচ্ছে রোগী দেখে। হাসপাতালে আসা রোগী ও আত্মীয়-স্বজনদের থেকে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলোর প্রত্যেক বাড়িতে ৩-৪ জন করে রোগী রয়েছে। অনেক বাড়িতে পর্যায়ক্রমে পরিবারের সকল সদস্যই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। কেউ পল্লী চিকিৎসক, কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক অথবা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গত বুধবার রাজিবপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, আউট ডোর-ইনডোর মিলে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী হাজির হয়েছিল। মেডিকেল অফিসার শাফিউল ইসলাম সজিব জানান, তিনি গত বুধবার ৭০টি রোগী দেখেছেন। এরমধ্যে ৪৫ জনই জ্বর, সর্দি ও কাশি রয়েছে। তার বিশ্বাস টেস্ট করলেই তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হবে।

রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাক্তার সারওয়ার জাহান জানান, মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে কি প্রতিদিন এত রোগী দেখা সম্ভব। তাছাড়া কোন রোগীই মুখে মাস্ক পড়তে চায়না। করোন টেস্ট তো দূরের কথা। গত ২ দিনে ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী করোনা টেস্ট করেছেন। এরমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর করোনা পজিটিভ হয়েছে। সে বর্তমানে রাজিবপুর স্টাফ কোয়ার্টারে কোয়ারেন্টেইনে রয়েছে। উক্ত হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার যোগদান না করালে রাজিবপুরবাসী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।