নারী ও শিশু পাচারে জড়িতরা ছাড় পাবে না

বিজিবি মহাপরিচালক

নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কেউ কোনভাবে ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর গুলশানে সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারের অভিযোগে সাতক্ষীরায় একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ধরার জন্য আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় অভিযান চালাই। কিন্তু তাকে বাসায় পাওয়া যায় না। এ বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

নারী ও শিশু পাচার বন্ধে গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা চেয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে পাচারের শিকার না হন, সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মেজর জেনারেল সাফিনুল বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারাপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছ। গত বুধবার রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় বিজিবি প্রধান বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবা সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজ শর্তে ঋণ পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানদের পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, আরটিজিএস, বিএফটিএন এবং রেমিট্যান্স সেবাসহ বিভিন্ন সেবা চালু করেছে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ , ১১ আষাঢ় ১৪২৮ ১৩ জিলকদ ১৪৪২

নারী ও শিশু পাচারে জড়িতরা ছাড় পাবে না

বিজিবি মহাপরিচালক

নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কেউ কোনভাবে ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর গুলশানে সীমান্ত ব্যাংকের ১৯তম শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারের অভিযোগে সাতক্ষীরায় একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ধরার জন্য আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় অভিযান চালাই। কিন্তু তাকে বাসায় পাওয়া যায় না। এ বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

নারী ও শিশু পাচার বন্ধে গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা চেয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে পাচারের শিকার না হন, সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মেজর জেনারেল সাফিনুল বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারাপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছ। গত বুধবার রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় বিজিবি প্রধান বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবা সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজ শর্তে ঋণ পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানদের পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, আরটিজিএস, বিএফটিএন এবং রেমিট্যান্স সেবাসহ বিভিন্ন সেবা চালু করেছে বলে জানান তিনি।