যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না, সেগুলোর অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানি ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপরও বহু কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।
কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক, প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন। যা খুবই দুঃখজনক।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানচিত্রসম উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবক সারাদেশেই বিস্তৃত রয়েছে। দেশে মোট ২২৬০টি কলেজ। ৫৬০টি অনার্স কলেজ ও শিক্ষার্থী আছে ২৯ লাখ, শিক্ষক আছে ৬০ হাজার। অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, কোভিডকালীন ৭০০০ ক্লাস আপলোড করেছি। এ ছাড়াও প্রায় ১৩ হাজার ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে কতজন শিক্ষার্থী এসব ক্লাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে আমি আইসিটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে নতুন প্রদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। এছাড়া এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক আছেন, বেতন পাচ্ছেন তাকে তো ক্লাস নিতে হচ্ছে না। এসব শিক্ষকদের দিয়ে অনলাইন ক্লাস আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিস করার পরিকল্পনা আছে।
অনলাইনে ভর্তির ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেও অনলাইনে ভর্তি সম্পন্ন করেছে। শুধু রেজিস্ট্রেশন ফরম এবং ভর্তির টাকা দেয়ার জন্য তাদের নির্দিষ্ট কলেজে যেতে হতো। এবার এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনের সম্পন্ন করার জন্য আমরা ভর্তির খরচ মোবাইল ব্যাংকিংগুলোর মাধ্যমে নিতে পারি কিনা তা বিবেচনা করছি। এটি সম্ভব হলে আমরা সম্পূর্ণ ভর্তি অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারব।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নীতিগতভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে। যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৮ ১৫ জিলক্বদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না, সেগুলোর অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানি ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপরও বহু কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।
কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক, প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন। যা খুবই দুঃখজনক।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানচিত্রসম উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবক সারাদেশেই বিস্তৃত রয়েছে। দেশে মোট ২২৬০টি কলেজ। ৫৬০টি অনার্স কলেজ ও শিক্ষার্থী আছে ২৯ লাখ, শিক্ষক আছে ৬০ হাজার। অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, কোভিডকালীন ৭০০০ ক্লাস আপলোড করেছি। এ ছাড়াও প্রায় ১৩ হাজার ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে কতজন শিক্ষার্থী এসব ক্লাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে আমি আইসিটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে নতুন প্রদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। এছাড়া এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক আছেন, বেতন পাচ্ছেন তাকে তো ক্লাস নিতে হচ্ছে না। এসব শিক্ষকদের দিয়ে অনলাইন ক্লাস আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিস করার পরিকল্পনা আছে।
অনলাইনে ভর্তির ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেও অনলাইনে ভর্তি সম্পন্ন করেছে। শুধু রেজিস্ট্রেশন ফরম এবং ভর্তির টাকা দেয়ার জন্য তাদের নির্দিষ্ট কলেজে যেতে হতো। এবার এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনের সম্পন্ন করার জন্য আমরা ভর্তির খরচ মোবাইল ব্যাংকিংগুলোর মাধ্যমে নিতে পারি কিনা তা বিবেচনা করছি। এটি সম্ভব হলে আমরা সম্পূর্ণ ভর্তি অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারব।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নীতিগতভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে। যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগ কাজ শুরু করেছে।