বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন রাষ্ট্রদূত

টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টুইটে আর্ল মিলার বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ শীঘ্রই মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে গ্যাভির মাধ্যমে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে। কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে করোনা মোকাবিলায় দুনিয়াজুড়ে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই টুইটের একদিন আগে শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও একই তথ্য দিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, কোভ্যাক্স ফ্যাজিলিটিসের আওতায় আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পেতে গত জুনে কোভ্যাক্সকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সে হিসেবে আমাদের পর্যায়ক্রমে প্রায় সাত কোটি টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। চিঠি পেয়েছি, তারা আমাদের ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেবে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের ভেতরে আমাদের সেটি নিতে হবে।

কোভ্যাক্সের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন এবং দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুদ করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোভ্যাক্স উদ্যোগে ৪০০ কোটি ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কোভ্যাক্স মাধ্যমে এবং সরাসরি বিভিন্ন দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ হওয়া তিন কোটি টিকার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। গত ২২ জুন হোয়াইট হাউজ করোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নুতন করে এক কোটি ৬০ লাখ টিকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।

জুনের ৩ তারিখ হোয়াইট হাউজ আড়াই কোটি টিকা বণ্টনের ঘোষণা দিয়েছিল। তাতেও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ৭০ লাখ টিকা যেসব দেশে দেয়া হবে তার মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মজুদ থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে তা হবে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত। তবে মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আরও খবর
‘শিক্ষকদের বেতন না দিলে অধিভুক্তি বাতিল’
কৃষিতে সাফল্য বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে উন্নীত করেছে : প্রধানমন্ত্রী
সালিশ করতে গিয়ে বিবাহিত ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করলেন কিশোরীকে
জহুর হোসেন চৌধুরীর শততম জন্মদিন আজ
উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী অভিযানে ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরিতে সবাইকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে : প্রতিমন্ত্রী
নির্যাতিত নারীর মামলা না নেয়ায় ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ
দ্রুত রায় বাস্তবায়ন চায় পরিবার : মিন্নি অসুস্থ
তারেককে নিয়ে কথা বলায় জাফরুল্লাহকে ছাত্রদলের প্রচ্ছন্ন হুমকি
দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিতে প্রধান সমস্যা বন্যা ও লবণাক্ততা
পোশাককর্মীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার ছয় আসামির

রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৮ ১৫ জিলক্বদ ১৪৪২

বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টুইটে আর্ল মিলার বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ শীঘ্রই মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে গ্যাভির মাধ্যমে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে। কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে করোনা মোকাবিলায় দুনিয়াজুড়ে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই টুইটের একদিন আগে শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও একই তথ্য দিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, কোভ্যাক্স ফ্যাজিলিটিসের আওতায় আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পেতে গত জুনে কোভ্যাক্সকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সে হিসেবে আমাদের পর্যায়ক্রমে প্রায় সাত কোটি টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। চিঠি পেয়েছি, তারা আমাদের ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেবে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের ভেতরে আমাদের সেটি নিতে হবে।

কোভ্যাক্সের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন এবং দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুদ করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোভ্যাক্স উদ্যোগে ৪০০ কোটি ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কোভ্যাক্স মাধ্যমে এবং সরাসরি বিভিন্ন দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ হওয়া তিন কোটি টিকার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। গত ২২ জুন হোয়াইট হাউজ করোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নুতন করে এক কোটি ৬০ লাখ টিকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।

জুনের ৩ তারিখ হোয়াইট হাউজ আড়াই কোটি টিকা বণ্টনের ঘোষণা দিয়েছিল। তাতেও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ৭০ লাখ টিকা যেসব দেশে দেয়া হবে তার মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মজুদ থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে তা হবে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত। তবে মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।