চলতি নিয়মে বুধবার পর্যন্ত ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন

সরকার ঘোষিত লকডাউনেও আগামী বুধবার পর্যন্ত চলমান নিয়মে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলবে ব্যাংকে। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে, শেষ হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনার প্রকোপ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন আগামী বুধবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এরপর সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি নতুন করে কোন প্রজ্ঞাপন জারি করে, তবে সেই নিয়ম অনুসারে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩ দিনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

লকডাউন শুরুর আগের দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে শুরু হচ্ছে সীমিত পরিসরে লকডাউন। আবার ১ জুলাই থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন আরও বাড়তে পারে। এসব কিছু মিলিয়ে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে ভিড় করেছেন ব্যাংকগুলোতে।

ব্যাংকগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। সব গ্রাহক মিলে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাধারণ লেনদেনকারীদের কাউন্টারগুলোতে মোটামুটি সামাজিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করা হলেও সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহকরা।

এদিকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, লেনদেনের সময় কমানো হলেও গ্রাহক কমেনি। তাই যতক্ষণ গ্রাহক থাকে ততক্ষণ লেনদেন করতে হচ্ছে।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

চলতি নিয়মে বুধবার পর্যন্ত ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন

অর্থনৈতিক বাতা পরিবেশক

সরকার ঘোষিত লকডাউনেও আগামী বুধবার পর্যন্ত চলমান নিয়মে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লেনদেন চলবে ব্যাংকে। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে, শেষ হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনার প্রকোপ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন আগামী বুধবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এরপর সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি নতুন করে কোন প্রজ্ঞাপন জারি করে, তবে সেই নিয়ম অনুসারে লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩ দিনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

লকডাউন শুরুর আগের দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে শুরু হচ্ছে সীমিত পরিসরে লকডাউন। আবার ১ জুলাই থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন আরও বাড়তে পারে। এসব কিছু মিলিয়ে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে ভিড় করেছেন ব্যাংকগুলোতে।

ব্যাংকগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। সব গ্রাহক মিলে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাধারণ লেনদেনকারীদের কাউন্টারগুলোতে মোটামুটি সামাজিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করা হলেও সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহকরা।

এদিকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, লেনদেনের সময় কমানো হলেও গ্রাহক কমেনি। তাই যতক্ষণ গ্রাহক থাকে ততক্ষণ লেনদেন করতে হচ্ছে।