মৃত্যু, সংক্রমণ দুই সূচকেই শীর্ষে খুলনা

খুলনায় করোনা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। মৃত্যু ও সংক্রমণের হার- এই দুই সূচকেই শীর্ষে খুলনা বিভাগ। অন্যান্য বিভাগে সংক্রমণ কখনও ঊর্ধ্বমুখী, কখনও নিম্নমুখী হলেও খুলনায় সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ওঠা-নামা করছে।

সারাদেশে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ জন ছিলেন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরেই খুলনা বিভাগের দশ জেলায় গড়ে আটশ’ থেকে এক হাজার মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে পৌনে দুইশ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘জেলা শহরের প্রধান সড়ক ও আশপাশের কিছু এলাকা ছাড়া কোথাও কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। গ্রামাঞ্চলেও ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি কেউ মেনে চলছে না, মাস্ক পরছে না। এ কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুও হচ্ছে।’

‘লকডাউনে’ও খুব একটা কাজ হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যেখানে ডিউটিতে যাচ্ছে সেখানে হয়তো দু’একজন মাস্ক পরছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, কিন্তু পুলিশের তো জনবল স্বল্পতা আছে। তাদের পক্ষে সব জায়গায় সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়। মানুষকেই সচেতন হতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ ও মৃত্যু হতেই থাকবে।’

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ৪১ শতাংশের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগে, যা সারাদেশে করোনা শনাক্তের হারের প্রায় দ্বিগুণ।

আগের দিন খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই হাজার ২২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়, সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

২৫ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৩২২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়, ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

২৪ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯১৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ।

২৩ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ২৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৯০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৭২ জন।

এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত একদিনে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২৬ জুন ১৯ জনের, ২৫ জুন ২৭ জনের, ২৪ জুন ২৩ জনের, ২৩ জুন ৩৬ জনের, ২২ জুন ২৭ জনের এবং ২১ জুন ১৪ জনের মৃত্যু হয় খুলনা বিভাগে।

একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর দশদিন পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয় করোনায়। গতবছরের ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চের শুরুতে। এরপর গত ১৯ এপ্রিল একদিনে রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৭২ জনে।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১১৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৪ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের ২২ জন করে, খুলনা বিভাগের ৩২ জন, বরিশাল বিভাগের দু’জন, সিলেট বিভাগের পাঁচজন, রংপুর বিভাগের ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন তিনজন।

গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও নারী ৪৪ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১১৮ জন এবং মহিলা চার হাজার ৫৪ জন।

একদিনে শনাক্তের হার ২১ শতাংশের ওপরেই

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে সারাদেশের ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে (পরীক্ষাগার) ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫ লাখ ছয় হাজার ৭৮১টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গত একদিনে দেশে ৫ হাজার ২৬৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে।

করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৪৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ চার হাজার ১০৩ জন। শনাক্ত অনুপাতে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় বিভাগওয়ারি শনাক্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ৯ হাজার ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১২ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় একদিনে ১১ হাজার ৮২টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৬৪৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই হাজার ৯০৩টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২০২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে খুলনা বিভাগে সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৯৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় গত একদিনে দুই হাজার ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৫৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৬২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত একদিনে এক হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় ৪৪৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ০৩ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় গত একদিনে ৪৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫০ জন ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ বিভাগে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

মৃত্যু, সংক্রমণ দুই সূচকেই শীর্ষে খুলনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

খুলনায় করোনা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। মৃত্যু ও সংক্রমণের হার- এই দুই সূচকেই শীর্ষে খুলনা বিভাগ। অন্যান্য বিভাগে সংক্রমণ কখনও ঊর্ধ্বমুখী, কখনও নিম্নমুখী হলেও খুলনায় সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ওঠা-নামা করছে।

সারাদেশে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ জন ছিলেন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরেই খুলনা বিভাগের দশ জেলায় গড়ে আটশ’ থেকে এক হাজার মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে পৌনে দুইশ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘জেলা শহরের প্রধান সড়ক ও আশপাশের কিছু এলাকা ছাড়া কোথাও কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। গ্রামাঞ্চলেও ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি কেউ মেনে চলছে না, মাস্ক পরছে না। এ কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুও হচ্ছে।’

‘লকডাউনে’ও খুব একটা কাজ হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যেখানে ডিউটিতে যাচ্ছে সেখানে হয়তো দু’একজন মাস্ক পরছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, কিন্তু পুলিশের তো জনবল স্বল্পতা আছে। তাদের পক্ষে সব জায়গায় সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়। মানুষকেই সচেতন হতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ ও মৃত্যু হতেই থাকবে।’

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ৪১ শতাংশের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগে, যা সারাদেশে করোনা শনাক্তের হারের প্রায় দ্বিগুণ।

আগের দিন খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই হাজার ২২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়, সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

২৫ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৩২২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়, ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

২৪ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯১৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ।

২৩ জুন খুলনা বিভাগে দুই হাজার ২৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৯০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৭২ জন।

এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে খুলনা বিভাগে ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত একদিনে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২৬ জুন ১৯ জনের, ২৫ জুন ২৭ জনের, ২৪ জুন ২৩ জনের, ২৩ জুন ৩৬ জনের, ২২ জুন ২৭ জনের এবং ২১ জুন ১৪ জনের মৃত্যু হয় খুলনা বিভাগে।

একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর দশদিন পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয় করোনায়। গতবছরের ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চের শুরুতে। এরপর গত ১৯ এপ্রিল একদিনে রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৭২ জনে।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১১৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৪ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের ২২ জন করে, খুলনা বিভাগের ৩২ জন, বরিশাল বিভাগের দু’জন, সিলেট বিভাগের পাঁচজন, রংপুর বিভাগের ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন তিনজন।

গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও নারী ৪৪ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১১৮ জন এবং মহিলা চার হাজার ৫৪ জন।

একদিনে শনাক্তের হার ২১ শতাংশের ওপরেই

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে সারাদেশের ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে (পরীক্ষাগার) ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫ লাখ ছয় হাজার ৭৮১টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গত একদিনে দেশে ৫ হাজার ২৬৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে।

করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৪৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ চার হাজার ১০৩ জন। শনাক্ত অনুপাতে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় বিভাগওয়ারি শনাক্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ৯ হাজার ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১২ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় একদিনে ১১ হাজার ৮২টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৬৪৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই হাজার ৯০৩টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২০২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে খুলনা বিভাগে সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৯৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় গত একদিনে দুই হাজার ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৫৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৬২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত একদিনে এক হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় ৪৪৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ০৩ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় গত একদিনে ৪৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫০ জন ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ বিভাগে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।