দানের আড়ালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উগ্রবাদ প্রচারে ৩ জন আটক

রাজধানীর রামপুরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে তিন ছাত্রকে গত শনিবার আটক করেছে পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তারা হলো- সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার, মারুফ চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ও ফয়জুল মোরসালিন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে উগ্রবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

সিটিটিসি দাবি, গ্রেপ্তাররা সবাই আনসার আল ইসলামের একটি মডিউল বা সেলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মাঝে দান-সদকা ও মানবিক সাহায্যের আড়ালে উগ্র মতাদর্শ প্রচার ও জঙ্গিবাদে ধাবিত করার কাজ চালিয়ে আসছে। এছাড়া যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালানোর পরিকল্পনা ছিল।

রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেন তাইমিয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি শিক্ষা কোর্সে অধ্যায়ন করছিলেন। সে ২০১৫ সাল থেকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত। ২০১৬ সাল থেকে একটি সেলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

‘মারুফ চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িতও ২০১৭ সালে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকায় তিন মাস কাজ করেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের মধ্যে দান, সদকা ও মানবিক সাহায্য দেয়ার আড়ালে রোহিঙ্গাদের উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করার জন্য দীর্ঘদিন অবস্থান করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এছাড়া মোরসালিন ঢাকার একটি মাদরাসা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যায়ন করছে। সংগঠনের অনলাইন সেলে কাজ করছে সে’।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, তারা মূলত সাহায্য দেয়ার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সহায়তার আড়ালে দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনা করত। দান-সদকা, জাকাত ও বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেগুলো রোহিঙ্গাদের মধ্যে দান করত। তারা কি পরিমাণ মানুষকে তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত করেছে সেটি জানা যায়নি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা রামপুরা এলাকায় একত্র হয়ে যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালাবে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল বলে তিনি জানান।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

দানের আড়ালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উগ্রবাদ প্রচারে ৩ জন আটক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর রামপুরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে তিন ছাত্রকে গত শনিবার আটক করেছে পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তারা হলো- সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার, মারুফ চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ও ফয়জুল মোরসালিন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে উগ্রবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

সিটিটিসি দাবি, গ্রেপ্তাররা সবাই আনসার আল ইসলামের একটি মডিউল বা সেলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মাঝে দান-সদকা ও মানবিক সাহায্যের আড়ালে উগ্র মতাদর্শ প্রচার ও জঙ্গিবাদে ধাবিত করার কাজ চালিয়ে আসছে। এছাড়া যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালানোর পরিকল্পনা ছিল।

রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেন তাইমিয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি শিক্ষা কোর্সে অধ্যায়ন করছিলেন। সে ২০১৫ সাল থেকে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত। ২০১৬ সাল থেকে একটি সেলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

‘মারুফ চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িতও ২০১৭ সালে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকায় তিন মাস কাজ করেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের মধ্যে দান, সদকা ও মানবিক সাহায্য দেয়ার আড়ালে রোহিঙ্গাদের উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করার জন্য দীর্ঘদিন অবস্থান করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এছাড়া মোরসালিন ঢাকার একটি মাদরাসা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যায়ন করছে। সংগঠনের অনলাইন সেলে কাজ করছে সে’।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, তারা মূলত সাহায্য দেয়ার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সহায়তার আড়ালে দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনা করত। দান-সদকা, জাকাত ও বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেগুলো রোহিঙ্গাদের মধ্যে দান করত। তারা কি পরিমাণ মানুষকে তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত করেছে সেটি জানা যায়নি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা রামপুরা এলাকায় একত্র হয়ে যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালাবে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল বলে তিনি জানান।