পাবনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা চঞ্চলের বিরুদ্ধে

২৫ লাখ টাকায় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা আটঘরিয়া পৌর মেয়রের

বিয়ের প্রলোভনে একই পরিবারের বড় বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে কৌশলে ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের কথা বলে তাকেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাবনা আটঘরিয়া উপজেলা দেবত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হামিদ মো. মোহাইমিন হোসেন চঞ্চলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এলাকার বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন (অভিযোগ নং-৭৩১)। এছাড়া তিনি গত ২২ জুন সংবাদ সম্মেলন করেও অভিযোগ করেন।

এদিকে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। মেয়র রতন শনিবার পৌর কার্যালয়ে সবার উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে চেয়ারম্যান চঞ্চলকে ২৫ লাখ টাকা কাবিননামায় বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা সেই সিন্ধান্তে রাজি না হওয়ায় আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। থেকে। চেয়ারম্যান চঞ্চল তখন স্থানীয় একটি স্কুলে (ইশারত আলী জিন্নাহ

স্কুলে) শিক্ষকতা করতেন। আর সেই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন অভিযোগকারীর শিক্ষার্থীর বড় বোন আদুরী খাতুন। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের গোপন প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গিয়ে পৌঁছায়। ২০১২ সালে কোন একদিন শিক্ষার্থী আদুরীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাবনা শহরের অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে চঞ্চল। সেই দিন শহর থেকে বাড়িতে ফেরার পরে আদুরী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন পরিবার মনে করেছিলেন এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনা পর চঞ্চল ওই পরিবারকে সান্ত¡না দেয়ার জন্য তাদের বাসায় যাতায়াত করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে একই পরিবারের ছোট বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই একই কায়দায় তাকেও বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

ভুক্তভোগী মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে চঞ্চল তার ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে ভয় দেখাতে থাকে। এরই এক সময়ে ছোট বোন বড় বোন আদুরীর একটি গোপন ডায়েরি খুঁজে পায়। সেখানে চঞ্চলের সঙ্গে তার বড় বোনের সম্পর্কের বিষয় জানতে পারে ছোট বোন। এর পরই ভুক্তভোগী মেয়েটি ও পরিবারের সদস্যরা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান চঞ্চলের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য ঢাকায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মেয়েটি। বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ ঈশ^রদী সদর সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, লম্পট চঞ্চল পূর্বে আমার বড় বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কৌশলে আমার বোনকে সে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি তখন আমরা জানতাম না। আমার বোনের মৃত্যুর পর আমার সঙ্গে তার প্রেমের সস্পর্ক হয়। একই কায়দায় সে আমাকেও ধর্ষণ করে। আমাকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে। অনেকবার আমি তাকে বিয়ে করার কথা বলেছি কিন্তু উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখাতো।

সম্প্রতি আমার বোনের একটি ডায়েরি থেকে বোনের লেখা চঞ্চলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষটি জানতে পারি। সেখান থেকেই আসলে আমি এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য পৌর মেয়র সাহেব আমাদের উভয় পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষের কথা হয়েছে। যে আমাকে বিয়েই করেনি, সে আবার আমাকে ডিভোর্ড লেটার পাঠায়। আমি সব বলেছি তাকে। তবে সেখানে কোন সমাধান হয়নি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের সবাইকে মেয়র সাহেব ডাকে পাঠাইছিল পৌরসভায়। সেখানে আমরা সবাই গেছিলাম। চঞ্চলের লোকজনও ছিল। মেয়র সাহেব উভয় পক্ষের কথা শুনে ২৫ লাখ টাকা কাবিন নামা করে চঞ্চলের সঙ্গে আমার মিয়েক বিয়ে দিবের চাইছে। আমরা বিষটি মাইনা নেই নাই, তাই সমাধান হয় নাই।’

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আবু হামিদ মো. মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল বলেন, সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালে মে মাসের ৫ তারিখে তাকে আমি বিয়ে করছিলাম। আর চলতি বছর জুন মাসের ৭ তারিখে পারিবারিক কারণে তাকে আমি তালাক দিয়েছি। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক মসলা লাগিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। মেয়েটি বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্য এসব কাজ করছে। আজকে মেয়র সাহেবের কক্ষে উভয় পক্ষকে ডেকে ছিলেন তিনি। ২৫ লাখ টাকা কাবিননামায় আমাকে বিয়ের করার কথা বলেছেন মেয়র। কিন্তু আমার একটি মেয়ে সন্তান আছি, সে আমাকে বলেছে বিয়ে করলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি কি করব বুঝঝে উঠতে পাছি না। এদিকে মেয়ের পরিবারের দাবি ৫০ লাখ টাকা কাবিননামা। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।

ঘটনার বিষয়ে পাবনা পুলিশ সুপার মোহম্মাদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে মেয়েটির পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ছেলেটি বলছে তার বিবাহিত বউ আর মেয়েটি অস্বীকার করছে। দীর্ঘদিনের জটিল বিষয়। তবু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

পাবনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা চঞ্চলের বিরুদ্ধে

২৫ লাখ টাকায় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা আটঘরিয়া পৌর মেয়রের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

বিয়ের প্রলোভনে একই পরিবারের বড় বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে কৌশলে ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের কথা বলে তাকেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাবনা আটঘরিয়া উপজেলা দেবত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হামিদ মো. মোহাইমিন হোসেন চঞ্চলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এলাকার বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন (অভিযোগ নং-৭৩১)। এছাড়া তিনি গত ২২ জুন সংবাদ সম্মেলন করেও অভিযোগ করেন।

এদিকে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম রতন অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। মেয়র রতন শনিবার পৌর কার্যালয়ে সবার উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে চেয়ারম্যান চঞ্চলকে ২৫ লাখ টাকা কাবিননামায় বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা সেই সিন্ধান্তে রাজি না হওয়ায় আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। থেকে। চেয়ারম্যান চঞ্চল তখন স্থানীয় একটি স্কুলে (ইশারত আলী জিন্নাহ

স্কুলে) শিক্ষকতা করতেন। আর সেই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন অভিযোগকারীর শিক্ষার্থীর বড় বোন আদুরী খাতুন। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের গোপন প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গিয়ে পৌঁছায়। ২০১২ সালে কোন একদিন শিক্ষার্থী আদুরীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাবনা শহরের অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে চঞ্চল। সেই দিন শহর থেকে বাড়িতে ফেরার পরে আদুরী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন পরিবার মনে করেছিলেন এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনা পর চঞ্চল ওই পরিবারকে সান্ত¡না দেয়ার জন্য তাদের বাসায় যাতায়াত করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে একই পরিবারের ছোট বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই একই কায়দায় তাকেও বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

ভুক্তভোগী মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে চঞ্চল তার ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে ভয় দেখাতে থাকে। এরই এক সময়ে ছোট বোন বড় বোন আদুরীর একটি গোপন ডায়েরি খুঁজে পায়। সেখানে চঞ্চলের সঙ্গে তার বড় বোনের সম্পর্কের বিষয় জানতে পারে ছোট বোন। এর পরই ভুক্তভোগী মেয়েটি ও পরিবারের সদস্যরা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান চঞ্চলের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য ঢাকায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মেয়েটি। বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ ঈশ^রদী সদর সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, লম্পট চঞ্চল পূর্বে আমার বড় বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কৌশলে আমার বোনকে সে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি তখন আমরা জানতাম না। আমার বোনের মৃত্যুর পর আমার সঙ্গে তার প্রেমের সস্পর্ক হয়। একই কায়দায় সে আমাকেও ধর্ষণ করে। আমাকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে। অনেকবার আমি তাকে বিয়ে করার কথা বলেছি কিন্তু উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখাতো।

সম্প্রতি আমার বোনের একটি ডায়েরি থেকে বোনের লেখা চঞ্চলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষটি জানতে পারি। সেখান থেকেই আসলে আমি এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য পৌর মেয়র সাহেব আমাদের উভয় পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষের কথা হয়েছে। যে আমাকে বিয়েই করেনি, সে আবার আমাকে ডিভোর্ড লেটার পাঠায়। আমি সব বলেছি তাকে। তবে সেখানে কোন সমাধান হয়নি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের সবাইকে মেয়র সাহেব ডাকে পাঠাইছিল পৌরসভায়। সেখানে আমরা সবাই গেছিলাম। চঞ্চলের লোকজনও ছিল। মেয়র সাহেব উভয় পক্ষের কথা শুনে ২৫ লাখ টাকা কাবিন নামা করে চঞ্চলের সঙ্গে আমার মিয়েক বিয়ে দিবের চাইছে। আমরা বিষটি মাইনা নেই নাই, তাই সমাধান হয় নাই।’

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আবু হামিদ মো. মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল বলেন, সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালে মে মাসের ৫ তারিখে তাকে আমি বিয়ে করছিলাম। আর চলতি বছর জুন মাসের ৭ তারিখে পারিবারিক কারণে তাকে আমি তালাক দিয়েছি। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক মসলা লাগিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। মেয়েটি বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্য এসব কাজ করছে। আজকে মেয়র সাহেবের কক্ষে উভয় পক্ষকে ডেকে ছিলেন তিনি। ২৫ লাখ টাকা কাবিননামায় আমাকে বিয়ের করার কথা বলেছেন মেয়র। কিন্তু আমার একটি মেয়ে সন্তান আছি, সে আমাকে বলেছে বিয়ে করলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি কি করব বুঝঝে উঠতে পাছি না। এদিকে মেয়ের পরিবারের দাবি ৫০ লাখ টাকা কাবিননামা। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।

ঘটনার বিষয়ে পাবনা পুলিশ সুপার মোহম্মাদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে মেয়েটির পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ছেলেটি বলছে তার বিবাহিত বউ আর মেয়েটি অস্বীকার করছে। দীর্ঘদিনের জটিল বিষয়। তবু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।