পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করলো হাইকোর্ট

পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বোর্ডে কারা থাকবেন সেটি বলেনি। তবে আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোন বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী। আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখিত রায়ে থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন। বিদেশে পলাতক পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন বিষয়ে সোমবার রায়ের দিন ঠিক করে দেয়।

আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করতে বোর্ড গঠন করে দেয়।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তলব করে গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় ঋণখেলাপিরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করেন এবং ঋণ পরিশোধের কথা জানান।

এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় ওই দিনই ১২২ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ , ১৫ আষাঢ় ১৪২৮ ১৭ জিলক্বদ ১৪৪২

পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করলো হাইকোর্ট

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনর্গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বোর্ডে কারা থাকবেন সেটি বলেনি। তবে আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোন বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী। আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড। এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখিত রায়ে থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন। বিদেশে পলাতক পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন বিষয়ে সোমবার রায়ের দিন ঠিক করে দেয়।

আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পিপলস লিজিং পুনর্গঠন করতে বোর্ড গঠন করে দেয়।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তলব করে গত ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় ঋণখেলাপিরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করেন এবং ঋণ পরিশোধের কথা জানান।

এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় ওই দিনই ১২২ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।