এমপিরা সচিবদের উপরে, এটা খেয়াল রাখতে হবে তোফায়েল

আমলাদের কারণে রাজনীতিকরা ‘ম্লান’ হয়ে যাচ্ছেন বলে উষ্মা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল বলেছেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা (এমপি) সচিবদের ওপরে। এটা খেয়াল রাখতে হবে।’ গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপনের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৩টি বিল এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একটি বিল উত্থাপন করেন। বিলগুলো পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যারা এই জাতীয় সংসদের সদস্য, এমন একজনও নেই যিনি এই করোনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে বা যেভাবেই হোক গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াননি। সবাই দাঁড়িয়েছেন। আমি আমার নিজের এলাকায় ৪০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেয়।’

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাঠে যাননি উল্লেখ করে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘এখন আমাদের মাফ করবেন, কথা বলাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত জানি না। যাকে দেয়া হয়েছে তিনি এখন পর্যন্ত যাননি। এটা কিন্তু ঠিক না। একটা রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনীতিবিদদের যে কর্তৃত্ব কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’ ‘ফেরাউনের সময়ও আমলা ছিল’- পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তোয়ায়েল আহমেদ বলেন, ‘এসব কথাবার্তা মানুষ পছন্দ করে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন করে দেবেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা রাজনীতিবিদ, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান যে আছে, সেখানে তাদের থাকা উচিত। কারণ, আমাদের জেলায় একজন সচিব যাবেন। আমরা তাকে বরণ করে নেব, ঠিক আছে। কিন্তু তারা যান না। একদিনের জন্য তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। তখন মন্ত্রীরা জেলার দায়িত্ব পালন করতেন। সেখানে গেলে কর্মীরা আসত। মন্ত্রীরা গ্রামেগঞ্জে যেতেন। কোথায় যেন সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ , ১৫ আষাঢ় ১৪২৮ ১৭ জিলক্বদ ১৪৪২

সংসদ অধিবেশন

এমপিরা সচিবদের উপরে, এটা খেয়াল রাখতে হবে তোফায়েল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আমলাদের কারণে রাজনীতিকরা ‘ম্লান’ হয়ে যাচ্ছেন বলে উষ্মা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল বলেছেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা (এমপি) সচিবদের ওপরে। এটা খেয়াল রাখতে হবে।’ গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপনের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৩টি বিল এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একটি বিল উত্থাপন করেন। বিলগুলো পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যারা এই জাতীয় সংসদের সদস্য, এমন একজনও নেই যিনি এই করোনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে বা যেভাবেই হোক গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াননি। সবাই দাঁড়িয়েছেন। আমি আমার নিজের এলাকায় ৪০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেয়।’

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাঠে যাননি উল্লেখ করে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘এখন আমাদের মাফ করবেন, কথা বলাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত জানি না। যাকে দেয়া হয়েছে তিনি এখন পর্যন্ত যাননি। এটা কিন্তু ঠিক না। একটা রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনীতিবিদদের যে কর্তৃত্ব কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’ ‘ফেরাউনের সময়ও আমলা ছিল’- পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তোয়ায়েল আহমেদ বলেন, ‘এসব কথাবার্তা মানুষ পছন্দ করে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন করে দেবেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা রাজনীতিবিদ, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান যে আছে, সেখানে তাদের থাকা উচিত। কারণ, আমাদের জেলায় একজন সচিব যাবেন। আমরা তাকে বরণ করে নেব, ঠিক আছে। কিন্তু তারা যান না। একদিনের জন্য তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। তখন মন্ত্রীরা জেলার দায়িত্ব পালন করতেন। সেখানে গেলে কর্মীরা আসত। মন্ত্রীরা গ্রামেগঞ্জে যেতেন। কোথায় যেন সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে।