কোরবানির পশু ট্রেনে পরিবহনের চিন্তা

আসছে কোরবানির ঈদের সময় লকডাউন থাকলে দরকার হলে ট্রেনযোগে গবাদীপশু পরিবহন করা হবে। এরপর ট্রেন স্ট্রেশন থেকে নির্ধারিত হাটে পশু নেয়া হবে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরসহ অনেক জেলায়ই ট্রেন চলাচল করে। এতে পশু পরিবহনে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। সারাদেশে এখন ছোট বড় প্রায় ৭ লাখ গবাদিপশুর খামার রয়েছে। কোরবানি উপযোগী পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে নওগাঁ জেলায় লকডাউনের মধ্যে জনসমাগম ঠেকাতে স্থায়ী পশুর হাট আপাতত বন্ধ আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আজিজুর রহমান গতকাল বিকেলে সংবাদকে জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রস্তুত। পশুর হাটে থাকবে পশু ডাক্তারদের মোবাইল টিম।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, সারাদেশে ছোট বড় মিলিয়ে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি কোরবানির পশুর খামার আছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯২ হাজার, খুলনায় ১ লাখ ৭ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ২২ হাজার, রাজশাহীতে ১ লাখ ২৭ হাজার, চট্টগ্রামে ৭৪ হাজার, মংমনসিংহে ৪০ হাজার, বরিশালে ২০ হাজার ও সিলেটে ১২ হাজারের বেশি পশুর খামার আছে।

গবাদিপশুর খামারগুলোতে কোরবানিযোগ্য ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার গরু ও মহিষ আছে। ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল, খাসি ও ভেড়া আছে। আর উট ও দুম্বা ৪ হাজার ৭শ’র বেশি আছে।

আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় চলমান বিধিনিষেধের পাশাপাশি জেলার সব পশুর হাট বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ৩০ জুন পর্যন্ত পশুরহাট বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে খামার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে এবং অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। গত শুক্রবার জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানো হয়।

কোরবানির আগ মুহূর্তে পশুর হাট বন্ধ রাখার ঘোষণায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পশু খামারি ও গৃহস্থের কপালে। কোরবানির আগে হাট না বসলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জারি করা চলমান বিশেষ বিধিনিষেধের পাশাপাশি জেলার সব পশুর হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। তবে খামার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে এবং অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, পত্নীতলা ও ধামইরহাট থেকে জেলার অভ্যন্তরে এবং জেলার বাইরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য পরিববহন, জরুরি কাজে ব্যবহৃত সরকারি গাড়িসহ অন্য জরুরি সেবা-পরিষেবা কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পাড়া-মহল্লাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনে মাইক থেকে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক ঘোষণার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক এসব কাজে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সব সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় ছোট-বড় ১০৪টি হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। জেলার মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া বাজার, পোরশা উপজেলার মশিদপুর, মহাদেপুরের মাতাজীহাট, বদলগাছীর কোলাহাট ও রাণীনগরের আবাদপুকুর বৃহৎ পশুর হাট। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ মৌসুমে এসব হাটে স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থের বাড়িতে এ বছর ৩ লাখ ২০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার। জেলায় চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু ৮৫ হাজার বেশি রয়েছে।

নওগাঁ পৌরসভার শিবপুর এলাকার খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য খামারে ১২টি গরু লালন-পালন করেছি। গরু কেনা ও লালন-পালন খরচ বাবদ প্রতিটি গরুর পেছনে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। গরু যে রকম হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে তাতে প্রতিটি গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রির আশা আছে। কিন্তু পশুর হাট বন্ধের যে ঘোষণা শুনলাম তাতে তো চিন্তার বিষয়। হাটে দর-কষাকষি করে গুরু বিক্রি করলে একটু বেশি লাভের আশা থাকে। কোরবানির আগ পর্যন্ত হাট বন্ধ থাকলে মনে হয় বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।’

নওগাঁ জেলায় বেশ কয়েকটি পশুর হাটের ইজারাদার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পশুরহাট একেবারে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আমার মনে হয় সঠিক নয়। কারণ, কোরবানিকে কেন্দ্র করে বহু খামারি ও গৃহস্থ পশু লালন-পালন করে থাকেন একটু লাভের আশায়। এসব সময় গবাদিপশু বিক্রি করে যেটুকু লাভ হয় তা দিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় খরচ করে থাকে। কিন্তু এই সময়ে পশুর হাট বন্ধ রাখলে তাদের বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে। আমি মনে করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে কেনা-বেচা চালু রাখা উচিত।’

এ দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আজিজুর রহমান জানান, পশুর হাটের প্রস্তুতি নিয়ে গত রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে লকডাউনের কারণে পশু হাটে নেয়ায় (পরিবহন) সমস্যা হলে ট্রেনযোগে পশু বহনের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন তারা। করোনা ও লকডাউনের কারণে হাট বন্ধ রাখার বিষয় তাদের জানা নেই।

মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ , ১৫ আষাঢ় ১৪২৮ ১৭ জিলক্বদ ১৪৪২

কোরবানির পশু ট্রেনে পরিবহনের চিন্তা

বাকী বিল্লাহ, ঢাকা ও কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

আসছে কোরবানির ঈদের সময় লকডাউন থাকলে দরকার হলে ট্রেনযোগে গবাদীপশু পরিবহন করা হবে। এরপর ট্রেন স্ট্রেশন থেকে নির্ধারিত হাটে পশু নেয়া হবে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরসহ অনেক জেলায়ই ট্রেন চলাচল করে। এতে পশু পরিবহনে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। সারাদেশে এখন ছোট বড় প্রায় ৭ লাখ গবাদিপশুর খামার রয়েছে। কোরবানি উপযোগী পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে নওগাঁ জেলায় লকডাউনের মধ্যে জনসমাগম ঠেকাতে স্থায়ী পশুর হাট আপাতত বন্ধ আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আজিজুর রহমান গতকাল বিকেলে সংবাদকে জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রস্তুত। পশুর হাটে থাকবে পশু ডাক্তারদের মোবাইল টিম।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, সারাদেশে ছোট বড় মিলিয়ে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৫টি কোরবানির পশুর খামার আছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯২ হাজার, খুলনায় ১ লাখ ৭ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ২২ হাজার, রাজশাহীতে ১ লাখ ২৭ হাজার, চট্টগ্রামে ৭৪ হাজার, মংমনসিংহে ৪০ হাজার, বরিশালে ২০ হাজার ও সিলেটে ১২ হাজারের বেশি পশুর খামার আছে।

গবাদিপশুর খামারগুলোতে কোরবানিযোগ্য ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার গরু ও মহিষ আছে। ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল, খাসি ও ভেড়া আছে। আর উট ও দুম্বা ৪ হাজার ৭শ’র বেশি আছে।

আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় চলমান বিধিনিষেধের পাশাপাশি জেলার সব পশুর হাট বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ৩০ জুন পর্যন্ত পশুরহাট বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে খামার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে এবং অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। গত শুক্রবার জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানো হয়।

কোরবানির আগ মুহূর্তে পশুর হাট বন্ধ রাখার ঘোষণায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পশু খামারি ও গৃহস্থের কপালে। কোরবানির আগে হাট না বসলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জারি করা চলমান বিশেষ বিধিনিষেধের পাশাপাশি জেলার সব পশুর হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। তবে খামার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে এবং অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। এছাড়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, পত্নীতলা ও ধামইরহাট থেকে জেলার অভ্যন্তরে এবং জেলার বাইরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য পরিববহন, জরুরি কাজে ব্যবহৃত সরকারি গাড়িসহ অন্য জরুরি সেবা-পরিষেবা কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পাড়া-মহল্লাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনে মাইক থেকে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক ঘোষণার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক এসব কাজে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সব সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় ছোট-বড় ১০৪টি হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। জেলার মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া বাজার, পোরশা উপজেলার মশিদপুর, মহাদেপুরের মাতাজীহাট, বদলগাছীর কোলাহাট ও রাণীনগরের আবাদপুকুর বৃহৎ পশুর হাট। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ মৌসুমে এসব হাটে স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন খামার ও গৃহস্থের বাড়িতে এ বছর ৩ লাখ ২০ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার। জেলায় চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু ৮৫ হাজার বেশি রয়েছে।

নওগাঁ পৌরসভার শিবপুর এলাকার খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য খামারে ১২টি গরু লালন-পালন করেছি। গরু কেনা ও লালন-পালন খরচ বাবদ প্রতিটি গরুর পেছনে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। গরু যে রকম হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে তাতে প্রতিটি গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রির আশা আছে। কিন্তু পশুর হাট বন্ধের যে ঘোষণা শুনলাম তাতে তো চিন্তার বিষয়। হাটে দর-কষাকষি করে গুরু বিক্রি করলে একটু বেশি লাভের আশা থাকে। কোরবানির আগ পর্যন্ত হাট বন্ধ থাকলে মনে হয় বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।’

নওগাঁ জেলায় বেশ কয়েকটি পশুর হাটের ইজারাদার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পশুরহাট একেবারে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আমার মনে হয় সঠিক নয়। কারণ, কোরবানিকে কেন্দ্র করে বহু খামারি ও গৃহস্থ পশু লালন-পালন করে থাকেন একটু লাভের আশায়। এসব সময় গবাদিপশু বিক্রি করে যেটুকু লাভ হয় তা দিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় খরচ করে থাকে। কিন্তু এই সময়ে পশুর হাট বন্ধ রাখলে তাদের বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে। আমি মনে করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে কেনা-বেচা চালু রাখা উচিত।’

এ দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ডা. আজিজুর রহমান জানান, পশুর হাটের প্রস্তুতি নিয়ে গত রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে লকডাউনের কারণে পশু হাটে নেয়ায় (পরিবহন) সমস্যা হলে ট্রেনযোগে পশু বহনের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন তারা। করোনা ও লকডাউনের কারণে হাট বন্ধ রাখার বিষয় তাদের জানা নেই।