ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের মোট ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, আদালত যে ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া তার মা ফাতেমা হানিফের একটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি ও স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর আগে রোববার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। এমন অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ , ১৫ আষাঢ় ১৪২৮ ১৭ জিলক্বদ ১৪৪২
আদালত বার্তা পরিবেশক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের মোট ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, আদালত যে ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া তার মা ফাতেমা হানিফের একটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি ও স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর আগে রোববার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। এমন অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।