কেশবপুরের মোড়ে মোড়ে পশুহাট! ঘুমিয়ে প্রশাসন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রশাসন যশোরের কেশবপুর শহরের পশুহাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় আশপাশের গ্রামগুলোতে চলছে অবৈধ পশুহাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরুর মালিকসহ ব্যাপারীদের আনাগোনায় মুুখরিত হয়ে উঠেছে পশুহাট। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব। সরকার রাজস্ব হরালেও এ যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, কেশবপুর শহরের পশুহাটে প্রতি সপ্তাহের সোম ও বুধবার পশুরহাট বসে। প্রতিদিন করোনাভাইরাসে হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কেশবপুরের পশুহাটের কার্যক্রম উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। গত সোমবার পশুহাটের দিনে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওই হাটে গরু উঠাতে না পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরু আশপাশের গ্রামগুলোতে হাট বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কিছু গরু ব্যাপারীরা অনৈতিক সুবিধা নিতে অবৈধ ওই পশুহাট বসিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সরেজমিনে দেখো গেছে, কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়কের পৌর এলাকার সাবদিয়া মোড়, মজিদপুর ঈদগাহ মোড় ও মজিদপুর কওমি মাদরাসা মোড়ে প্রকাশ্যে পশুহাট বাসিয়ে গরু বিকিকিনি হচ্ছে। এভাবে অবৈধভাবে পশুহাট বসলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব।

মজিদপুর কওমি মাদরাসা মোড়ে গরু বিক্রি করতে আসা জিয়াউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গরু বিক্রি করতে না পারায় কওমি মাদ্র্রাসা মোড়ে পশুহাট বসার খবর শুনে তিনি তার লক্ষাধিক টাকার গরু এনেছেন বিক্রি করতে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসায় সন্তোষজনক দাম পাচ্ছি না।

গরুর ব্যাপারী রবিউল ইসলাম রবি বলেন, কওমি মাদ্র্রাসা মোড়ে ৫০-৬০টি গরু বিক্রির সংবাদ পেয়ে খুলনা থেকে গরু কিনতে এসেছেন। কয়েকটি গরু কেনা হয়েছে। উপরের চাপের কারণে ফিরে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, অবৈধ পশুহাট বসার কোন সুযোগ নেই। সোমবার বিভিন্ন স্থানে গরু বিক্রির খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে গরু বেঁচাকেনা বন্ধ করা হয়েছে।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

কেশবপুরের মোড়ে মোড়ে পশুহাট! ঘুমিয়ে প্রশাসন

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রশাসন যশোরের কেশবপুর শহরের পশুহাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় আশপাশের গ্রামগুলোতে চলছে অবৈধ পশুহাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরুর মালিকসহ ব্যাপারীদের আনাগোনায় মুুখরিত হয়ে উঠেছে পশুহাট। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব। সরকার রাজস্ব হরালেও এ যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, কেশবপুর শহরের পশুহাটে প্রতি সপ্তাহের সোম ও বুধবার পশুরহাট বসে। প্রতিদিন করোনাভাইরাসে হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কেশবপুরের পশুহাটের কার্যক্রম উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। গত সোমবার পশুহাটের দিনে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওই হাটে গরু উঠাতে না পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরু আশপাশের গ্রামগুলোতে হাট বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কিছু গরু ব্যাপারীরা অনৈতিক সুবিধা নিতে অবৈধ ওই পশুহাট বসিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সরেজমিনে দেখো গেছে, কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়কের পৌর এলাকার সাবদিয়া মোড়, মজিদপুর ঈদগাহ মোড় ও মজিদপুর কওমি মাদরাসা মোড়ে প্রকাশ্যে পশুহাট বাসিয়ে গরু বিকিকিনি হচ্ছে। এভাবে অবৈধভাবে পশুহাট বসলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব।

মজিদপুর কওমি মাদরাসা মোড়ে গরু বিক্রি করতে আসা জিয়াউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গরু বিক্রি করতে না পারায় কওমি মাদ্র্রাসা মোড়ে পশুহাট বসার খবর শুনে তিনি তার লক্ষাধিক টাকার গরু এনেছেন বিক্রি করতে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসায় সন্তোষজনক দাম পাচ্ছি না।

গরুর ব্যাপারী রবিউল ইসলাম রবি বলেন, কওমি মাদ্র্রাসা মোড়ে ৫০-৬০টি গরু বিক্রির সংবাদ পেয়ে খুলনা থেকে গরু কিনতে এসেছেন। কয়েকটি গরু কেনা হয়েছে। উপরের চাপের কারণে ফিরে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, অবৈধ পশুহাট বসার কোন সুযোগ নেই। সোমবার বিভিন্ন স্থানে গরু বিক্রির খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে গরু বেঁচাকেনা বন্ধ করা হয়েছে।