আটদিনে মৃত্যুর ৩১ শতাংশই খুলনায়

আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়ালো

গত আটদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর প্রায় ৩১ শতাংশই খুলনা বিভাগের। আটদিনের মধ্যে সাতদিনই বেশি মৃত্যু ছিল খুলনা অঞ্চলে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও খুলনা অঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত আটদিনে সারাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৪ জনই খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। যা আটদিনের মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

অন্য বিভাগের মধ্যে আটদিনে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ১৬১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় ১২৪ জন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১২৭ জন, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৪ জন, সিলেট বিভাগের চার জেলায় ২১ জন এবং রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যাও ৯ লাখ ছাড়িয়েছে।

খুলনা বিভাগের সংক্রমণ ও মৃত্যু

খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় গত একদিনে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত ও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, যশোরে ৩০৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ৯ জনের মৃত্যু, ঝিনাইদহে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু, খুলনা জেলায় ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ৫ জনের মৃত্যু, কুষ্টিয়ায় ১৮০ জনের করোনা শনাক্ত ও ৫ জনের মৃত্যু, মাগুরায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, মেহেরপুরে ৮০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, নড়াইলে ৫১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু এবং সাতক্ষীরায় ৩৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

টানা তৃতীয় দিনে শতাধিক মৃত্যু

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। দু’দিন আগে ২৭ জুন একদিনে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। এর আগে গত ১৯ জুন ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে হওয়া লোকজনসহ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৩৮৮ জন।

সংক্রমণের শীর্ষে খুলনা বিভাগ

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে তিন হাজার ৩৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়। এই পরীক্ষায় এক হাজার ৩৬৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

আগের দিন খুলনা বিভাগে এক হাজার ৪৬৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৪৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।

আর ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) গত একদিনে ১৩ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগে একদিনে এক হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৩৭০টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১২ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে চার হাজার ৮৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৯ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

রংপুর বিভাগে একদিনে এক হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় ৪৬৭ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগে গত একদিনে ৫৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সিলেট বিভাগে গত একদিনে ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৮ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই বিভাগে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় সাত হাজার ৬৪১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ চার হাজার ৪৩৬ জন। একদিনে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি। এ হিসেবে মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ২৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর শনাক্ত অনুপাতে মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ১১২ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৭ জন এবং নারী ৪৫ জন। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ দশ হাজার ২৫৩ জন এবং নারী চার হাজার ১৩৫ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৬১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২৪ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ছিলেন ১৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুই জন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ছিলেন এক জন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে তিন জন, সিলেটে এক জন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন মারা গেছেন।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

আটদিনে মৃত্যুর ৩১ শতাংশই খুলনায়

আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়ালো

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ঘরে। গতকাল যাত্রাবাড়ী এলাকায় সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা এক রোগীকে কোন বাহন না পেয়ে ভ্যান গাড়িতে নেয়া হচ্ছে -সংবাদ

গত আটদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর প্রায় ৩১ শতাংশই খুলনা বিভাগের। আটদিনের মধ্যে সাতদিনই বেশি মৃত্যু ছিল খুলনা অঞ্চলে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও খুলনা অঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত আটদিনে সারাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৪ জনই খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। যা আটদিনের মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

অন্য বিভাগের মধ্যে আটদিনে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ১৬১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় ১২৪ জন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১২৭ জন, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৪ জন, সিলেট বিভাগের চার জেলায় ২১ জন এবং রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যাও ৯ লাখ ছাড়িয়েছে।

খুলনা বিভাগের সংক্রমণ ও মৃত্যু

খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় গত একদিনে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত ও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, যশোরে ৩০৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ৯ জনের মৃত্যু, ঝিনাইদহে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু, খুলনা জেলায় ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ৫ জনের মৃত্যু, কুষ্টিয়ায় ১৮০ জনের করোনা শনাক্ত ও ৫ জনের মৃত্যু, মাগুরায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, মেহেরপুরে ৮০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু, নড়াইলে ৫১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত ও ২ জনের মৃত্যু এবং সাতক্ষীরায় ৩৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

টানা তৃতীয় দিনে শতাধিক মৃত্যু

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। দু’দিন আগে ২৭ জুন একদিনে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। এর আগে গত ১৯ জুন ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে হওয়া লোকজনসহ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৩৮৮ জন।

সংক্রমণের শীর্ষে খুলনা বিভাগ

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগে। এই বিভাগে তিন হাজার ৩৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়। এই পরীক্ষায় এক হাজার ৩৬৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

আগের দিন খুলনা বিভাগে এক হাজার ৪৬৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৪৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।

আর ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) গত একদিনে ১৩ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগে একদিনে এক হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৩৭০টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১২ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে চার হাজার ৮৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৯ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

রংপুর বিভাগে একদিনে এক হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় ৪৬৭ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগে গত একদিনে ৫৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

সিলেট বিভাগে গত একদিনে ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৮ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই বিভাগে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় সাত হাজার ৬৪১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ চার হাজার ৪৩৬ জন। একদিনে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি। এ হিসেবে মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ২৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর শনাক্ত অনুপাতে মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ১১২ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৭ জন এবং নারী ৪৫ জন। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ দশ হাজার ২৫৩ জন এবং নারী চার হাজার ১৩৫ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৬১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২৪ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ছিলেন ১৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুই জন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ছিলেন এক জন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ২২ জন, চট্টগ্রামে ১৬ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৩৫ জন, বরিশালে তিন জন, সিলেটে এক জন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন মারা গেছেন।